শেষ আপডেট: 3rd September 2024 17:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৯-৫টার চাকরি আর গতে বাঁধা রুটিন যে জীবনকে জটিল করে তুলছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সাফল্যের পেছনে বিরামহীন ছুটে চলা মানুষগুলোই খুঁজে নিচ্ছেন ধীর জীবনযাপনের পথ। এক কথায় ইদানিং বহু মানুষই ঝুঁকছেন স্লো লিভিং বা ধীর জীবনযাপনের দিকে। কিন্তু কারণটা কী? আর এই স্লো লিভিং বা ধীর জীবনযাপনের ধারণাটি এলই বা কোথা থেকে?
এই 'স্লো লিভিং'-এর ধারনাটি নতুন হলেও, বিষয়টি কিন্তু মোটেই নতুন নয়। বর্তমানে এই আধুনিক সমাজব্যবস্থা আসার অনেক আগে মানুষ 'স্লো লিভিং'-ই করত। অর্থাৎ ধীর জীবনযাপন করত। তাহলে হঠাৎ কেন এর জনপ্রিয়তা বাড়ল?
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, করোনা মহামারির পর বিষয়টি নিয়ে আবার ভাবতে শুরু করেছে মানুষ। বহু সংখ্যক মানুষ চাইছে ইঁদুরদৌড়ে সামিল না হয়ে, ধীর জীবনযাপন করতে। অনেকেই এখন ওয়ার্ক ফর্ম হোম বা ঘরে বসে কাজ করাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
স্লো লিভিংয়ের আসল মানে কী?
স্লো লিভিংয়ের ধারণাটি এসেছে স্লো মুভমেন্ট থেকে। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি জীবনে কী চান, কোন কাজে সুখী হন, সেই বিষয়গুলোকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় স্লো মুভমেন্টে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, প্রাধান্য দিতে গিয়ে ছুটতে হবে ইঁদুরদৌড়ে। স্লো লিভিংয়ের আসল লক্ষ্য হল জীবনের গতি কিছুটা কমানো। চারপাশের পৃথিবীটাকে দেখে-বুঝে এগিয়ে যাওয়া। তাই মানুষ বর্তমানে স্লো লিভিং বেছে নিচ্ছে। তবে স্লো লিভিংয়ের মানে কিন্তু কোনওভাবেই খুব ধীরগতিতে সব কিছু করা নয়। এমনকী আলস্যও নয়।
'স্লো লিভিংয়ের' ধরাবাঁধা কোনও সূত্র নেই। ‘স্লো’ ইংরাজি শব্দটাকে ভাঙলে চারটি শব্দ পাওয়া যায়। 'এস' মানে সাসটেনেবল, 'এল' মানে লোকাল, 'ও' মানে অরগ্যানিক এবং 'ডব্লিউ' মানে হোল। এর অর্থ প্রতিটা মানুষ তার নিজের মতো করে পছন্দের জীবন গড়ে তুলতে পারে স্লো লিভিংয়ে।