শেষ আপডেট: 21st February 2024 15:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাপমাত্রা বাড়ছে চড়চড় করে। এই গরমে নয়া উপদ্রবের নাম ‘হিট ফিভার’ এবং 'হিট ডায়ারিয়া' (Heat Exhaustion)। সদ্যোজাত থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া, কিশোর-কিশোরী এক ছবি শহরের সর্বত্রই। জ্বর আসছে মাঝেমধ্যেই। আর সেই জ্বরেই নেতিয়ে পড়ছে বাচ্চারা। ঘন ঘন পেটের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সুবর্ণ গোস্বামী বলছেন, ডায়ারিয়া হলে অহেতুক ভয় পাবেন না। ওষুধে যেমন কাজ হবে, বাড়িতেও বাচ্চার যত্ন নিতে হবে। বাচ্চাকে কী খাবার খাওয়াবেন, কী বাদ দেবেন, সেগুলো মাথায় রাখবেন।
ডাক্তারবাবুর কথায়, বিভিন্ন কারণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। সিজন চেঞ্জের সময়ে বাতাসে ভাইরাস বেড়ে যায়, তখনও ভাইরাল ডায়রিয়া হতে পারে। আবার কোনও খাবার থেকে সংক্রমণ হলেও ডায়রিয়া হয়। ডায়রিয়ার সঙ্গে জ্বর বা বমি হলে বুঝতে হবে যে, পেটে ইনফেকশন হয়েছে।
গরমে বাচ্চাদের বেশি প্রোটিন খাওয়াতেও নিষেধ করছেন ডাক্তারবাবু। গরমে বেশি প্রোটিন খেলে শরীরে জলের প্রয়োজন বেড়ে যায়। তাই যতই জল খাওয়ানো হোক না কেন, শরীরে জলের প্রয়োজনটা পুরো মেটে না। এই কারণেই হাল্কা, কম তেল-মশলার খাবারই এই সময়ে আদর্শ।
কী কী নিয়ম মানবেন বাবা-মায়েরা (Heat Exhaustion)
রোদ থেকে শিশুকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন। কারণ, গরমে বাইরে বেরোলে ঘাম হচ্ছে, ফলে শরীর থেকে প্রচুর নুন বেরিয়ে যাচ্ছে।
বাইরে থেকে ফিরলেই ওআরএস মেশানো জল খেতেই হবে। নুন-চিনির জল খাওয়াও ভাল।
শরীর যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করা উচিত। বারবার স্নান করা সম্ভব না হলে ভিজে গামছা বা তোয়ালে দিয়ে বারবার গা মুছিয়ে দেওয়া দরকার।
বাচ্চাদের ফল, আনাজ খাওয়ানোর আগে বা রান্নার আগে ভাল করে ধুয়ে নেবেন। অন্তত মিনিট দশেক জলে ডুবিয়ে রেখে ঘষে ধুতে হবে।
রাস্তার খাবার, বিশেষত কাটা ফল বা লস্যি, ফলের রস জাতীয় খাবার বাচ্চাদের একদম দেবেন না।
ডাক্তার না দেখিয়ে বাড়িতে ওষুধ খাওয়াবেন না। আগে এক দিন ঘরোয়া উপায়ে বাচ্চাটিকে সুস্থ করা যায় কি না দেখে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন না। শুরুতে ল্যাক্টোব্যাসিলাস গ্রুপের ওষুধেই কাজ হয় কি না দেখতে হবে।