শেষ আপডেট: 7th March 2024 15:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত বছরই টম্যাটো জ্বরের প্রকোপ বেড়েছিল দেশে। চিকুনগুনিয়ার উপসর্গের সঙ্গে কিছুটা মিল ছিল সেই রোগের। আক্রান্ত হচ্ছিল পাঁচ বছর বা তার নীচের বাচ্চারাই। এখন আবার প্যারট ফিভার নামে এক ধরনের সংক্রামক জ্বরের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। প্যারট ফিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এই সংক্রামক জ্বর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউরোপে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে।
কী এই প্যারট ফিভার?
অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডে প্যারট ফিভার ছড়িয়েছে বলেজানা গেছে। ভারতে এখনও এই সংক্রামক রোগের উপসর্গ দেখা দেয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এই রোগের নাম সিট্টাকোসিস, যা মূলত পাখিদের হয়। ক্লেমাইডিয়া সিটাকি নামে এক ধরনের সংক্রামক ব্যাকটেরিয়ার কারণেই সিট্টাকোসিস বা প্যারট ফিভার হয়। টিয়া পাখি, কাকাতুয়া, মুরগি, টার্কি, পায়রা ও অন্যান্য পাখিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়। এনেকটা বার্ড ফ্লুয়ের মতো। সংক্রামিত পাখিদের সংস্পর্শে এলে মানুষেরও এই রোগ হতে পারে।
কী কী লক্ষণ দেখা দেয়?
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ৫ থেকে ১৪ দিন পরে উপসর্গ বোঝা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময়েই মানুষের শরীরে রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে না। ফলে তলে তলে রোগ বাড়তে থাকে। বাড়িতে পোষা পাখি থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।
সাধারণত প্যারট ফিভার হলে ধূম জ্বর আসে। ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
ঘন ঘন বমি, পেট খারাপ, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, পেশির খিঁচুনি, মাথা যন্ত্রণা, প্রচণ্ড ক্লান্তি ও শারীরিক দুর্বলতা এই রোগের লক্ষণ।
বাড়িতে পোষা পাখির এই রোগ হলে বুঝবেন কী করে?
বাড়িতে টিয়া, কাকাতুয়া পোষের অনেকেই। আবার অনেকের বাড়িতেই নানারকম বাহারি পাখি আছে। পাখির শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হচ্ছে কিনা তা বোঝা যাবে কিছু লক্ষণ দেখলেই। যদি দেখেন, পাখি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে বা বন্ধ করে দিয়েছে, পাখির চোখ ও নাক দিয়ে তরল বেরোচ্ছে, মল-মূত্রের রং বদলে গেছে, পাখি সারাদিন ঝিমোচ্ছে, ডায়রিয়া হচ্ছে তাহলে সাবধান হতে হবে। আক্রান্ত পাখির সংস্পর্শে বেশি এলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। বাড়িতে বাচ্চা বা বয়স্করা থাকলে তাদের সংস্পর্শে না যাওয়াই ভাল।
সিট্টাকোসিস থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই বাড়ির প্রবীণদের বিশেষ করে সাবধানে রাখতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যান্টিবডি টেস্টে ধরা পড়ে সংক্রমণ। প্যারট ফিভার পজিটিভ হলে অ্যান্টিবায়োটিক ট্রিটমেন্ট আছে। এই রোগ সাধারণত প্রাণঘাতী নয়। কিন্তু যদি আগে থেকেই কোনও জটিল রোগ থাকে বা কোমর্বিডিটি থাকে তাহলে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।