
বাঁকা চোখে নয় আমি ওঁদের সম্মানের চোখেই দেখি
সোহিনী চক্রবর্তী
“সবাই তো ওঁদের বাঁকা চোখেই দেখেন। আমি নয় ওঁদের একটু অন্য ভাবেই দেখলাম।” ঠিক এমনটাই বলেছিলেন ডিজাইনার সুজয় দাশগুপ্ত। সম্প্রতি ফ্যাশন দুনিয়ায় বেশ হইচই ফেলে দিয়েছেন এই বঙ্গ তনয়। কিছুদিন আগে দেরাদুনে আয়োজিত হয়েছিল একটি ফ্যাশন উইক। সেখানেই বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছিলেন সুজয়। আর সঙ্গে ছিল তাঁর ‘বারবনিতা’ কালেকশন।
কিন্তু এই বারবনিতা কালেকশন যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
দ্য ওয়ালের পক্ষ থেকে সুজয়কে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানালেন, “আমার ফ্যাশনের থিম ছিল সোনাগাছির মহিলারা। ওঁদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে বহুদিন থেকেই ছিল। সমাজ তো বরাবরই ওঁদের বাঁকা চোখে দেখে। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল ওঁদের জীবনেও অনেক রং রয়েছে। সেই রংগুলো নিয়েই খেলতে চেয়েছিলাম আমি। আর তাই এই ভাবনা।” তবে সুজয় জানিয়েছেন, র্যাম্পে হেঁটেছেন একেবারেই প্রফেশনাল মডেলরা।
তবে এইসব মডেলদের এক্কেবারে নিজের হাতে তৈরি করেছেন সুজয়। তিনি বলেন, “এই ফ্যাশন শোটা নিয়ে অনেক পড়াশোনা করতে হয়েছে আমায়। ধীরে ধীরে বুঝতে হয়ে সোনাগাছির আসল লাইফস্টাইল। অনেক পরিশ্রমের ফসল আমার এই শো। তবে সবার যে ভালো লেগেছে তাতে আমি খুব খুশি। ফ্যাশন জগতের মানুষজন, আমার আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবরাও আমার কাজ নিয়ে খুব খুশি।”
সুতি, খাদি, মসলিন এই তিনের সম্ভারে মডেলদের সাজিয়ে তুলেছিলেন সুজয়। তবে শুধু শাড়ি নয়। ছিল ইন্দো-ওয়েস্টার্ন মিক্সড অ্যান্ড ম্যাচের পোশাকও। ওয়েস্টার্ন লুকে ভিন্ন স্টাইলের শাড়িতে সুজয়ের মডেলরা হয়ে উঠেছিলেন মোহময়ী। আর মডেলদের লুকে ছিল এক অন্যরকমের বাঙালি লুকের টাচ। দেরাদুনের এই ফ্যাশন শোয়ের ডিরেক্টর ছিলেন অজেন্দ্র গৌতম। স্টাইলিংয়ে ছিলেন অতুল আনসাল এবং জাভেদ আনজুম। আলোকচিত্রীর ভূমিকায় ছিলেন সোনু ভাট। তবে শুধু মহিলা নয় পুরুষদের জন্যেও ছিল পোশাক।
আগামী প্রোজেক্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় সুজয় বলেন, “আমার আগামী ফ্যাশন শো দিল্লিতে। সেখানেও একটা চমক রয়েছে। কিন্তু এখনই বলতে চাই না। আগে কালেকশনটা রেডি করি। তারপর নয় সব কিছু বলা যাবে।”
ছবি সৌজন্যে সুজয় দাশগুপ্ত-র ফেসবুক