শেষ আপডেট: 8th March 2020 05:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কান চুলকোলে কটন বাড ব্যবহার করতে অনেককেই দেখা যায়। এমনকি এটা অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়। আর এই অভ্যাসে অজান্তে যে কত বড় ক্ষতি হয়ে যায় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। আদতে নরম হলেও এই কটন বাড কানের পক্ষে খুবই খারাপ। খুব বেশি হলে কানের শোনার ক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে ক্রমাগত এই কটন বাড ব্যবহার করতে থাকলে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কটন বাড কানের গহ্বরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। অনেক সময় রক্তও পড়তে পারে। কানের মধ্যে অনেক সূক্ষ্ম শিরা ও নরম অস্থি থাকে। এই কটন বাডের আঘাতে সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে কখনও শোনার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলতে পারেন কেউ। যাঁরা প্রতিদিন এই কটন বাড ব্যবহার করেন তাঁরা বুঝতে পারেন না, এই বাডের তুলো অনেক সময় কানের ভিতরে থেকে যায়। সেই তুলো জমে কানের গহ্বরকে আটকে দিতে পারে। ফলে বাইরের আওয়াজ কম যায় ভিতরে। আওয়াজ শুনতে সমস্যা হয়। একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে প্রায় সাত হাজার মানুষ এই কটন বাড ব্যবহারের ফলে অসুস্থ হন। অনেকে আবার এর খারাপ দিক জানার পরেও এই অভ্যাস ছাড়তে পারেন না। ফলে দিনের পর দিন এই অসুস্থ হওয়ার সংখ্যাটা বাড়ছে। মানুষের কানের ভিতরে আঠালো পদার্থ তৈরি হয়। এই পদার্থ বের করার জন্যই সাধারণত কটন বাড ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই আঠালো পদার্থ কানের পক্ষে উপকারী। বাইরের ধুলো, ময়লা, আঘাত থেকে তা কানকে রক্ষা করে। আর যদি এই পদার্থের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে আপনা আপনি তা স্নান করার সময় জলের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেক সময় পাশ ফিরে ঘুমের মধ্যেও তা বেরিয়ে আসে। চিকিৎসকরা বলছেন, যদি কানের মধ্যে কোনও সময়া হয়, যেমন চুলকুনি কিংবা শুনতে সমস্যা হওয়া, তাহলে ডাক্তার দেখান। ডাক্তার যদি কোনও ইয়ার ড্রপের কথা বলেন, তাহলে তা লাগান। কিন্তু নিজে থেকে কটন বাড দিয়ে খোঁচাতে যাবেন না। কারণ সেটা হিতে বিপরীত হতে পারে। বাড়াবাড়ি হলে শোনার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলতে পারেন। তাই সাবধান।