শেষ আপডেট: 17th March 2023 10:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আপনি কি একটু বেশি শীতকাতুরে? সারাদিন পায়ে মোজা পরে থাকেন। মোজা পরেই ঘুমিয়ে পরেন? তাহলে জেনে রাখুন, মোজা পরে ঘুমনোর অনেক উপকারিতা আছে। অনেকে আবার মনে করেন সারা রাত পায়ে মোজা পরে থাকলে ঘুমের অস্বস্তি হতে পারে, শরীর গরম হয়ে যেতে পারে, ইত্যাদি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোজা মোটেই খারাপ জিনিস নয়। বরং শরীরের তাপমাত্রা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে যে একদিকে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়, অন্যদিকে, ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা কমে। কোল্ড অ্যালার্জিতে ভোগেন যাঁরা, অল্পেতেই সর্দি-কাশি বসে যায়, তাঁদের জন্য মোজা ভীষণই ভাল নিঃসন্দেহে। এখন জেনে নেওয়া যাক মোজা আমাদের কী কী উপকারে লাগে-- প্রথমত, ঠান্ডার কথাই আগে আসছে। হিমেল হাওয়ার শিরশিরানি থেকে বাঁচতে হলে পায়ে মোজা পরে নিন, শরীর বেশ গরম হয়ে উঠবে। রাতে শোওয়ার পরে অনেকেরই পায়ের দুটো পাতা ঠান্ডা হয়ে যায়। শীতের সময় সমস্যা আরও বাড়ে। তখন মোজার বিকল্প আর কিছু নেই। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় পায়ের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে আসে। যার ফলে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। মোজা পরে নিলে পায়ের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কনকনে, শিরশিরানি ভাবটা কমে যায়। তখন সহজেই ঘুম চলে আসে। মোজা পরে ঘুমনোর আরও কিছু ভাল দিক আছে, যেমন--পা পরিষ্কার থাকে। পা ফাটার সমস্যা থাকলে মোজা পরুন বারো মাস। মোজা পরলে অনেকক্ষণ ময়শ্চার বজায় থাকে পায়ের। ফলে পায়ের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় না। রোজ দৌড়লে বা নিয়মিত হাইক করলে পায়ের উপরে চাপ পড়ে। পায়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পেন রিলিভার মোজা পরতে পারেন। এতে কমপ্রেশন জ়োন থাকায় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ফাইবারে তৈরি হওয়ায় এই মোজা পরলে পায়ে গন্ধও হয় না। শীতে অনেকের পায়ের পাতা ও আঙুল অবশ হয়ে যায়। রক্ত সঞ্চালন বাধা পেলে এ ধরনের সমস্যা হয়। অনেকের পায়ের আঙুল শক্ত হয়ে ওঠে। মোজা পরে ঘুমোলে এই সমস্যা হয় না। মেনোপজের সময় 'হট ফ্ল্যাশ'-এর সমস্যায় ভোগেন অনেকে। শরীরের উপরিভাগের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। গরম লাগে, ঘাম হয়, অস্বস্তি শুরু হয় শরীরে। রাতের শুয়ে ঘুম আসে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোজা পরে থাকলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। মোজা পরলে নাকি অর্গ্যাজম ভাল হয়, এমন কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা। মিলনের সময় অনেকেই মোজা পরতে পছন্দ করেন। কী ধরনের মোজা পরবেন, সেটাও একটা ব্যাপার। শীত চলে গেলেও মোজা তুলে রাখবেন না। সারা দিন রাস্তায় ঘুরুন বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে কাজ হোক, পায়ে থাকুক সুতির মোজা। বেশি ঘামও হবে না। পা-ও থাকবে পরিষ্কার। মোজা কেনার সময়ে মোজার সাইজ দেখে নেওয়া জরুরি। মোজা কখনও কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। প্রত্যেকের পায়ের আকার, গড়ন আলাদা। মোজা যেহেতু ইলাস্টিক হয়, তাই তা বেড়ে গেলে আপনার পায়ে ফিট করবে না। কোয়ার্টার লেংথ মোজা গোড়ালির একটু উপর পর্যন্ত ঢেকে রাখে। ফলে পায়ে ফোসকা পরে না। খেয়াল রাখুন মোজা নিয়মিত পরেন যাঁরা তাঁদের কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখতেই হবে। মোজা সর্বক্ষণ পরে থাকলে পায়ে দুর্গন্ধ হয়। ঘামের সঙ্গে মিশে থাকা ব্যাকটেরিয়া মোজার সঙ্গে মেশে, ফলে দুর্গন্ধ বাড়ে।মোজা দীর্ঘ সময় ধরে পরে থাকবেন না। কয়েক ঘণ্টা পর পরই মোজা বদলে ফেলুন কিংবা মোজা খুলে পায়ের ঘাম শুকিয়ে নিন। সুতির মোজা ব্যবহার করা ভাল। অন্যান্য উপাদানে তৈরি মোজা পায়ে দিয়ে দিনের পর দিন বাইরে বের হলে পায়ের চামড়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সপ্তাহে এক-দু বার পায়ে স্ক্রাব এবং ময়শ্চারাইজার দিয়ে পায়ের যত্ন নিলে খুব ভাল হয়। এতে ত্বক ভাল থাকে। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'