শেষ আপডেট: 26th February 2024 22:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনার মতোই সাঙ্ঘাতিক ছোঁয়াচে। শ্বাসযন্ত্রেই বাসা বাঁধে এই ভাইরাস। ধীরে ধীরে ফুসফুসকে ঝাঁঝরা করতে থাকে। করোনা কালে এই ভাইরাসের সংক্রমণও শুরু হয়েছিল দেশে। গোটা বাংলা জুড়েই রেসপিরেটারি ভাইরাস দাপিয়ে বেড়িয়েছে। বাংলার কয়েকটি জেলায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক বেড়েছিল। বলা হয়েছিল অজানা জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। এই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ হলে ভ্যাকসিনই একমাত্র পথ ছিল এতদিন। এবার খাওয়ার ওষুধও আসতে চলেছে বাজারে।
জর্জিয়ার বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেসের গবেষকরা বলেছেন, এভিজি-৩৮৮ নামে একধরনের উপাদান পাওয়া গেছে যা দিয়ে ওষুধ তৈরি হলে তা করোনার মতোই আরএনএ ভাইরাস রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি-কে কাবু করতে পারবে। সায়েন্স অ্যাডভান্স জার্নালে এই প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।
রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাস কী?
করোনার মতোই সিঙ্গল স্ট্র্যান্ডেড আরএনএ ভাইরাস। একে বলা হয় হিউম্যান রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (hRSV)। মূলত শ্বাসনালীতে সংক্রমণ ছড়ায় এই ভাইরাস। ছোঁয়াচে, দ্রুত ছড়াতে পারে। একবার শরীরে ঢুকলে ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ ছড়ায়। শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। শরীরে ভাইরাল লোড বাড়লে প্রবল শ্বাসকষ্টও হতে পারে।
শিশুরা এই ভাইরাসের প্রকোপে পড়লে ব্রঙ্কিওলাইটিস হতে পারে, বড়দের নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। ধুম-জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসনালীতে প্রদাহ হলে দেরি না করিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া ভাল। কারণ বেশি বাড়াবাড়ি হলে অসুখ নিউমোনিয়ার পর্যায়ে চলে যেতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, কোভিডের মধ্যেই ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বাড়ায় চিন্তা বেড়েছে। ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ডাক্তাররা বলছেন, বড়দের থেকে বাচ্চাদের মধ্যেও জ্বর, সর্দি-কাশি ছড়াচ্ছে। অনেকের পেট ব্যথা, বমি হচ্ছে। এই ভাইরাল জ্বর খুব ছোঁয়াচে, তাড়াতাড়ি সংক্রমিত হতে পারে। বাচ্চারা ভাইরাল জ্বরে খুব তাড়াতাড়ি কাবু হয়ে পড়ে। এমনকি দেখা গেছে, বড়দের থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বাচ্চাদের মধ্যেও। সাবধান থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা।
কী কী উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন বাবা-মায়েরা
১) বাচ্চাদের জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তিন দিনের বেশি থাকলেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
২) সর্দি-কাশি, ক্রমাগত নাক দিয়ে জল পড়া, গলা শুকিয়ে যাওয়া, গলায় ব্যথা হলে দেরি করা ঠিক হবে না।
৩) পেট খারাপ, ডায়েরিয়া, ঘন ঘন বমি, সারা গায়ে ব্যথা।
৪) দ্রুত শ্বাস নেওয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় বুক ধড়ফড় করা।
৫) পরিবারে রেসপিরেটারি সিনড্রোমের পূর্ব ইতিহাস থাকলে সতর্ক হতে হবে।
৬) বাচ্চাদের স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া ৫০ শতাংশ কমে গেলে সতর্ক হতে হবে।
৭) প্রস্রাব দিনে পাঁচ বারের কম হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে।