[caption id="attachment_88033" align="alignleft" width="118"]

সুতপা বড়ুয়া[/caption]
ছেলের পরীক্ষা শেষ। এ বার মায়ের কাছে তার হাজারো আবদার। একটা তালিকা এর মধ্যেই চৈরি হয়ে গেছে। আজ কী খাবো, কাল কী খাবো তার হরেক ফিরিস্তি। রোজকার ডাল-ভাতে এখন তার অরুচি। তাই একটু অন্য রকম কিছু বানানোর চেষ্টা করলাম।
রোজকার স্বাদ থেকে একটু আলাদা কিছু মানেই যে সেটা ঝাল-মশলায় রগরগে হতে হবে তেমনটা নয় কিন্তু। বাহারি স্বাদ যেমন থাকবে, তেমনি স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলবে ষোলোআনা। কম তেলেও রান্না হয় চমৎকার। আমার আজকের রেসিপিতে রয়েছে মন কাড়া চিংড়ি। ডুমো ডুমো করে কাটা রোস্টেড ক্যাপসিকামের মধ্যে মাখনে মজানো চিংড়ি অনবদ্য। আর চিংড়ি শুনলেই যে ভাতে-মাছে

বাঙালির মনে থুড়ি রসনায় একটা সুরেলা ঢেউ খেলে যায় এটা কার না জানা। সেই চিংড়িই যদি গড়পড়তা মালাইকারি বা তেল-ঝোলের সঙ্গ ছেড়ে একটু অন্যভাবে কন্টিনেন্টাল স্টাইলে পরিবেশন করা যায়, তাহলে রেসিপি তো বটেই, স্বাদেও একটা আলাদা ফ্লেভার আসে। আর বাচ্চাদের কাছে চিংড়ির যে কোনও ডিশই খুব পছন্দের।
চিংড়ি-ক্যাপসিকামের এই স্পেশাল ডিশ শেয়ার করলাম আপনাদের সঙ্গে। ট্রাই করে দেখুন ভালো লাগবে।
ভাজা ক্যাপসিকামের সঙ্গে চিংড়ির মিলমিশ করতে যা যা লাগবে
উপকরণ:
মাঝারি সাইজের চিংড়ি - ৩০০ গ্রাম
রসুন -১০-১২ টুকরো
লেবুর রস - তিন টেবিল চামচ
চিলি ফ্লেক্স - অল্প
নুন স্বাদ মত
চিনি খুব সামান্য
সয়া সস – ২ টেবিল চামচ
টম্যাটো সস - ১টে বিল চামচ
গোলমরিচ - ১/২ টেবিল চামচ
ক্যাপসিকাম - ১টি
মাখন - এক কিউব
সাদা তেল -১ টেবিল চামচ
এই রান্না সহজ এবং সময়ও লাগে কম
প্রণালী:
প্রথমে ননস্টিক প্যান গরম করে রসুনের টুকরো গুলো রোস্ট করে নিন। বাদামি হলে প্যান থেকে তুলে ঠাণ্ডা করে রাখুন। ডুমো ডুমো করে কিউবের মতো ক্যাপসিকাম কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। এ বার রসুনের মতোই সেগুলো রোস্ট করে রাখুন।
মাখন, ক্যাপসিকাম আলাদা একটি পাত্রে চিংড়ির সঙ্গে সয়া সস, লেবুর রস, চিলি ফ্লেক্স, গোলমরিচ গুঁড়ো সব উপকরণ মাখিয়ে রাখুন। এ বার প্যানে তেল গরম করে মাখানো চিংড়ি গুলো দিয়ে ভাজা ভাজা করুন। হালকা হাতে নাড়াচাড়া করুন। চিংড়ি নরম মাখা, মাখা হয়ে জল শুকিয়ে এলে তাতে আলাদা করে ভেজে রাখা ক্যাপসিকাম দিয়ে দিন। স্বাদমতো নুন, মিষ্টি দিয়ে নামিয়ে নিন।
স্টার্টার হিসেবে এই ডিশের তুলনা হয় না। রুটি, পরোটা, ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে এর স্বাদ খোলে বেশ।
মায়ের হাতের স্বাদের তুলনা নেই। মায়ের রান্নার হরেক রকম নিয়েই আমাদের এই নতুন বিভাগ। থাকবে অনাড়ম্বর, ঘরোয়া রান্নার স্বাদ, যা বানিয়ে ফেলা যাবে সহজেই। এমন অনেক রান্না আছে যা বর্তমান ব্যস্ততার যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে। ক্যাপসিকাম-চিংড়ির মেলবন্ধন যেমন মুখরোচক, তেমনি এই রান্নার পদ্ধতিও খুব সহজ। আজকের এই রেসিপির হদিস দিলেন সুতপা বড়ুয়া (ফোনঃ ৯৬৭৪৭৭৫২৬৮)।