শেষ আপডেট: 26th June 2020 06:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লকডাউন শুরুর আগে সিবিএসই বোর্ডের যে ক'টা পরীক্ষা হয়েছিল, তার ওপরে ভিত্তি করেই সামগ্রিক ফলাফল নির্ধারণ কার হবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের। নতুন করে আর কোনও পরীক্ষা নেওয়া হবে না। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বোর্ডের তরফে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা বোর্ডের যে ক'টি পেপারে পরীক্ষা দিতে পেরেছে, তাতে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বরগুলি যোগ করে ভাগ করা হবে পেপারের সংখ্যা দিয়ে। গড় যে নম্বরটি হবে, সেটিই ধরে নেওয়া হবে তাদের বাকি পরীক্ষার পেপারগুলির নম্বর। সেই অনুযায়ীই মূল্যায়ন হবে পরীক্ষার। বৃহস্পতিবার বোর্ডের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়, দেশের কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। কেন্দ্রের তরফেও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, তামিলনাড়ু, মহরাষ্ট্র এবং দিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে ওঠায় সিবিএসই পরীক্ষা এখন সম্ভব হবে না। শেষমেশ স্থগিত নয়, পুরোই বাতিল হল পরীক্ষা। নম্বর মিলবে আগের পেপারগুলির নিরিখে। সিবিএসই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আগে থেকেই জট ছিল। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন ঘোষণা করেছিল, লকডাউনের জন্য যে পরীক্ষাগুলি হয়নি সেগুলি ১ থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নেওয়া হবে। কিন্তু বোর্ডের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যান এক অভিভাবক। সেই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তা নেওয়া হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। অবশেষে বাতিল হল পরীক্ষা। সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৮ মার্চ অবধি কয়েকটি পেপারের পরীক্ষা হওযার পরে তা স্থগিত হয়ে যায় লকডাউনের কারণে। এর পরে মে মাসের ১৮ তারিখে ঘোষণা হয়, সিবিএসই বোর্ডের দ্বাদশ ও দশম শ্রেণির বাকি থাকা পরীক্ষার সূচি। বলা হয়, ১ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত টানা চলবে পরীক্ষা। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রকাশ করা হয় নয়া গাইডলাইন। অ্যাডমিট কার্ড, পেন-পেনসিলের সঙ্গে এবার পরীক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে আনতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। পরীক্ষাকেন্দ্রে মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক। প্রতিটি সিবিএসই বোর্ডের স্কুলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই পরীক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করতে হবে। দেখতে হবে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যেন শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকে। কিন্তু বোর্ডের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যান এক অভিভাবক। সেই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তা নেওয়া হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। শেষমেশ বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বাতিল হয় পরীক্ষা। ঠিক হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের চারটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হবে। প্রথম ক্যাটেগরিতে রয়েছে সে সব পরীক্ষার্থীরা যারা সব ক'টি পেপারের পরীক্ষা দিয়ে শেষ করতে পেরেছে। তাদের পরীক্ষায় পাওয়া নম্বর অনুযায়ী ফল প্রকাশ হবে। দ্বিতীয়ত, যারা তিনটির বেশি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের দেওয়া পরীক্ষাগুলির থেকে সেরা তিনটি নম্বর যোগ করে গড় করা হবে, সেই নম্বরটিই তাদের না-দিতে-পারা পরীক্ষাগুলির প্রাপ্য নম্বর বলে ধরা হবে। তৃতীয়ত, যারা কেবল তিনটি বিষয়েই পরীক্ষা দিয়েছে তাদের সেরা দু'টি নম্বর নিয়ে গড় করা হবে। সেই নম্বরই অন্য পেপারগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। শেষ ক্যাটেগরি অর্থাৎ চতুর্থ ভাগে যে সব পরীক্ষার্থীরা রয়েছে, তারা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থী। তারা একটি বা দু'টি পেপারের বেশি দিতে পারেনি। তাদের সেই পেপারের নম্বর এবং সারা বছর তাদের পড়াশোনা ও কাজ কেমন ছিল, প্রোজেক্ট কতটা ভাল করে তারা করেছে, তার উপর মূল্যায়ণ হবে বোর্ডের।