শেষ আপডেট: 8th February 2021 10:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লখনউকে বলা হয় নবাবদের শহর। এই শহরের অলিগলিতে ছড়িয়ে রয়েছে রহস্য ও ইতিহাস। এখানে অতীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নিরীহ মানুষ নবাবদের, ব্রিটিশদের অত্যাচারে মৃত্যুবরণ করেছেন। আর তাঁদেরই অতৃপ্ত আত্মা নাকি এখনও ঘুরে ফিরে বেড়ায় লখনউতে। বিখ্যাত সিকান্দারবাগ, বড় ইমামবাড়া থেকে শুরু করে ওইএল হাউস এবং বলরামপুর হাসপাতালকে নিয়ে রয়েছে নানারকমের ভূতুড়ে কাহিনি। আপনি যদি ভূতে বিশ্বাস না করেন তাহলে একবার রাত কাটিয়ে আসতেই পারেন এই জায়গাগুলো থেকে। রইল হদিশ।
ওইএল হাউস
লখনউয়ের ওইএল হাউসটিকে নিয়ে এমন সব গল্প রয়েছে যা আপনাকে সারারাত জাগিয়ে রাখবে। নবাব ওয়াজিদ আলী শাহের বাসভবন ছিল এটা। ১৮৫৭ সালের যুদ্ধের সময় বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ সৈনিককে মেরে কুয়োর ভেতরে ফেলে দেওয়া হয়। ওখানকার স্থানীয় মানুষেরা এখনও বিশ্বাস করেন যে ঐ সৈন্যদের আত্মারা গোটা বাড়ি দখল করে রেখেছেন। এই ঘটনা আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে যখন একটি বাচ্চা ছেলেকে কুয়োর পাশে নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। অনেকেই মনে করেন যে বাচ্চাটি কুয়োতে ঢিল মেরে মৃত সৈন্যদের বিরক্ত করছিল বলে অকালে তাকে প্রাণ দিতে হয়।
বড় ইমামবাড়া
বড় ইমামবাড়ার ভেতরে এমন সব ম্যাজ বা গোলকধাঁধা রয়েছে, স্থাপত্য রয়েছে যা দেখলে আপনার গা একটু হলেও ছমছম করবে। একবার যদি কোনও ব্যক্তি এর মধ্যে হারিয়ে যান তাহলে তাঁর বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিলের। এছাড়াও এর ভেতরে প্রতিটা পরতে রয়েছে রহস্য। শোনা যায়, ব্রিটিশরা ভারতীয় পুরুষদের এর ভেতরে নিয়ে এসে বন্দী করে রাখত!
রেলওয়ে কোয়ার্টারস
এই গল্পটা প্রেমের। এখানকার রেল কোয়ার্টারের একটি ঘর বরাদ্দ হয় বিল টার্নার নামে একজন ইঞ্জিয়ারের নামে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী এখানে থাকতেন। একদিন তিনি কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর সুন্দরী স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে। আর তখনই তিনি তাঁর রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বন্দুক বের গুলি করে হত্যা করেন স্ত্রীকে। আর এরপর থেকেই এই কোয়ার্টারটি ভূতুড়ে বলে পরিচিত ওখানকার বাসিন্দাদের কাছে।
সিকান্দারবাগ
লখনউয়ের অন্যতম বিখ্যাত জায়গা হল সিকান্দারবাগ। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস, ভূতুড়ে রহস্য। ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় বহু মানুষকে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে। তাঁদেরই আত্মা এখনও ছড়িয়ে রয়েছে ওখানে বলে দাবি করেন অনেকে। সূর্যাস্তের পরে আর কেউ ওখানে যান না, রাতে ঐ এলাক হিমশীতল হয়ে আসে বলে শোনা যায়। এছাড়াও অনেকেই নাকি ওখান থেকে কান্নার শব্দ এখনও শুনতে পান।