শেষ আপডেট: 27th January 2024 13:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দীপিকা পাড়ুকোন তাঁর নিজস্ব কসমেটিক ব্র্যান্ড বাজারে এনেছেন। তার নাম এইট্টিটু ডিগ্রি-ই (82°E)। সেই ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ ও ফেস ক্লিনজারের রেঞ্জের নাম লোটাস স্প্ল্যাশ (Lotus Splash)। তাদের দাবি, এটা কন্ডিশনিং ক্লিন্জার (Conditioning cleanser) এবং এতে পদ্মর গুণ রয়েছে (with lotus and bioflavonoids)।
অনেকের কাছে দামটা একটু বেশিই। ৩০ মিলির দাম ৪৫০ টাকা আর ১০০ মিলির দাম ১২০০ টাকা। কিন্তু সমস্যা তা নিয়ে নিয়ে নয়, এই রেঞ্জের নামে ‘লোটাস স্প্ল্যাশ’ লিখতেই বাজার চলতি অনেক দিনের ব্র্যান্ড লোটাস হার্বালস আপত্তি জানিয়েছে। শুধু শহরে নয়, শহরতলিতেও এখন লোটাস হার্বালসের প্রোডাক্ট ভাল চলে। বাংলাতেও তাদের ভাল বাজার রয়েছে।
এ ব্যাপারে দীপিকা পাড়ুকোনের কোম্পানি ডিপিকেএ ইউনিভার্সাল কনজিউমার ভেঞ্চারসের (DPKA Universal Consumer Ventures) বিরুদ্ধে মামলা করেছিল লোটাস হার্বালস (Lotus Herbal)। তাদের বক্তব্য ছিল, ‘লোটাস’ তাদের ট্রেড মার্ক। দীপিকার কসেমটিক্স কোম্পানি তা ব্যবহার করতে পারে না।
কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সি হরি শঙ্কর লোটাস হার্বালসের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের বক্তব্য, পদ্মের নির্যাস হল লোটাস স্প্ল্যাশের মৌলিক উপাদান। তাই প্রোডাক্টের নামে লোটাস শব্দটা রয়েছে। আর ‘স্প্ল্যাশ’ শব্দটিও প্রোডাক্টের ধরণের সঙ্গে দিব্য যায়। আদালতের তাই মত হল, দীপিকা পাড়ুকোনের কোম্পানি ক্রেতাদের কোনওভাবে বিভ্রান্ত করেনি। ট্রেড মার্ক আইনের ৩০(২)(এ) ধারা অনুযায়ী দীপিকার কসমেটিক কোম্পানি ওই ফেসওয়াশে ‘লোটাস’ শব্দের ব্যবহার করতেই পারে।
ট্রেড মার্কের ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনও প্রোডাক্টের গুণ, পরিমাণ, ভৌগলিক উৎস্য, সেই প্রোডাক্ট তৈরির সময় ইত্যাদির ব্যাপারে লেবেলের উপর কোনও তথ্য থাকলে তা অন্যের ট্রেডমার্কে হস্তক্ষেপ বলে বিবেচনা করা যাবে না।
তা ছাড়া আদালতের মতে, লোটাস স্প্ল্যাশের প্রতিটি প্যাকের উপর কসমেটিক্স কোম্পানির ব্র্যান্ড তথা 82°E পরিষ্কার করে লেখা রয়েছে। কোনও দোকানে বা স্যালনে এই প্রোডাক্ট সার দিয়ে রাখা থাকলে ব্র্যান্ডের নামের উপর ক্রেতার নজর সহজেই যাবে। এই 82°E হল দীপিকার কোম্পানির ট্রেডমার্ক। লোটাস স্প্ল্যাশ বা লাইকোরাইস বিম বা টারমেরিক শিল্ডের মতো শব্দ তাদের ট্রেড মার্ক নয়।
লোটাস হার্বালসও একটি ভারতীয় কসমেটিক্স প্রতিষ্ঠান। যা শুরু করেছিলেন কমল পাস্সি নামে এক ব্যবসায়ী। জলন্ধরে তাঁদের পারিবারিক কসমেটিক্স তৈরির কারখানা ছিল। পরবর্তীকালে পাস্সি সেটাকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছেন। লোটাস হার্বালসের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই কোম্পানির বিউটি প্রোডাক্ট যেভাবে ভারতের বাজার দখল করেছে তাও এক সাফল্যের গল্প। তবে এ যাত্রায় স্ট্রেইট সেটে জিতে গেলেন দীপিকা পাড়ুকোন।