শেষ আপডেট: 21st August 2020 08:05
আমতার নানা থানে
রত্না ভট্টাচার্য্য শক্তিপদ ভট্টাচার্য্য
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এখন ঘরের বাইরে বেরোতেও মানা। বেড়াতে যাওয়ার চ্যাপ্টার আপাতত ক্লোজ। লকডাউন চলছে। বাসা-বন্দি বাঙালির প্রাণপাখি ছটফট করছে। শুয়ে, বসে, গার্হস্থ্যকর্ম সেরেও সময় যেন কাটছে না। তবুও ‘পায়ে পায়ে বাংলা’ যথারীতি প্রকাশিত হল। আপাতত ভ্রমণকাহিনি পাঠেই হোক আপামর বাঙালির মানসভ্রমণ।
হাওড়া স্টেশন থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দামোদরের পূর্ব তীরে ছোট্ট মফসসল শহর হল আমতা। ডাকঘর, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, মুনসেফি আদালত, তিনটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, রামসদয় কলেজ ও সাধারণ গ্রন্থাগার নিয়ে আমতা বেশ জনবহুল এবং সমৃদ্ধ এলাকা। অতীতে আমতার খ্যাতি ছিল বাণিজ্য বন্দর হিসাবে কারণ সে সময় তমলুক-হিজলি থেকে চালান আসত লবণ এবং রানিগঞ্জ থেকে কয়লা। অতীতের সে স্মৃতি মলিন হলেও এখনও আমতার প্রসিদ্ধি একাধিক কারণে, তার মধ্যে অন্যতম হল জাগ্রত দেবী মেলাইচণ্ডীর অধিষ্ঠান।


রসপুর
গড়চণ্ডী : ‘চণ্ডী’ নামে পুরাণশ্রয়ী লৌকিক দেবীর অসম্ভব প্রতিপত্তি রাঢ়ের প্রায় সর্বত্র দেখা যায়। আদিবাসীদের শিকারের দেবী চণ্ডী হলেও পরবর্তীকালে আর্য ও অনার্য সংস্কৃতির মিলনের ফলে চণ্ডীর সঙ্গে পুরাণের চণ্ডী মিলিত হতে অসুবিধা হয়নি। হাওড়া জেলায় তিনি কোথাও মেলাইচণ্ডী, কোথাও বেতাইচণ্ডী, কোথাও মাকড়চণ্ডী কোথাও বা গড়চণ্ডী। শিলাখণ্ড, ঘট অথবা মূর্তিতে তিনি পূজিতা হন। গড়চণ্ডীর প্রাধান্য হাওড়া জেলায় বিশেষভাবে লক্ষিত হয় কারণ সমগ্র জেলাটিতে এই নামে দেবীর তিনটি থানের সন্ধান পাওয়া যায়। আমতা থানায় ২টি ও জগৎবল্লভপুর থানার ১টি। তিনটি থানই প্রায় দামোদর নদের তীরে অবস্থিত।

কাছেপিঠে আরও নানা জায়গায় বেরিয়ে পড়তে ক্লিক করুন নীচের লাইনে।