শেষ আপডেট: 29th January 2021 09:30
অজয় পাড়ের মঙ্গলকোট
রত্না ভট্টাচার্য্য শক্তিপদ ভট্টাচার্য্য
যাঁরা বেড়াতে ভালবাসেন, যাঁরা দেখতে চান বাংলার মুখ, তাঁদের কথা মনে রেখেই এই ধারাবাহিক ‘পায়ে পায়ে বাংলা’। খুঁজে নিন আপনার পছন্দের জায়গা, গুছিয়ে ফেলুন ব্যাগ, হুস করে বেরিয়ে পড়ুন সপ্তাহের শেষে। আপনার সঙ্গে রয়েছে ‘পায়ে পায়ে বাংলা’।
অজয় নদ আর কুনুর নদীর সঙ্গমের কাছে কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোট একটি প্রাচীন গ্রাম। অতীতের এক সমৃদ্ধ অঞ্চল। যদিও সে গরিমা এখন আর নেই। নদীর ভাঙাগড়ার মতোই তার ইতিহাস। বর্তমানে মঙ্গলকোট প্রসিদ্ধ মুসলমানদের অন্যতম তীর্থ হিসেবে। আঠেরো আওলিয়ার স্থান বলে বিখ্যাত হয়েছে মঙ্গলকোট। ১৩ শতকে গৌড় অধিপতি সুলতান গিয়াসুদ্দিনের অভিযানের সময় থেকে সম্ভবত এখানে মুসলমান যুগের ইতিহাসের সূচনা হয়। জনশ্রুতি, একের পর এক গাজিসাহেব ধর্মযুদ্ধে কাফেরদের পরাজিত করার জন্যে মঙ্গলকোট আক্রমণ করেন ও নিহত হন। মঙ্গলকোটে এখনও সেই গাজিদের সমাধিস্থান দেখতে পাওয়া যায়। শেষে পির গজনবী নামে একজন মঙ্গলকোটের বীর হিন্দু রাজাকে যুদ্ধে নিহত করে মঙ্গলকোট অধিকার করেন। প্রতিষ্ঠিত হয় স্থায়ী মুসলিম সমাজ।


কোগ্রাম
মঙ্গলকোট থানার নতুনহাট সংলগ্ন অজয়-কুনুর সঙ্গমস্থলে, ‘জল যেখানে সোহাগ ভরে স্থলকে ঘিরে রাখে’, সেই সোহাগতীর্থে কোগ্রাম অবস্থিত। অজয়-কুনুরের সঙ্গমস্থল এক ত্রিভুজাকৃতি ভূখণ্ড। মধ্যযুগে একসময় রাঢ় বাংলার বণিকরা জলপথে বাণিজ্যে যেতেন। দামোদরের স্রোতের তীব্রতা হেতু বাণিজ্যযাত্রার মূল পথ ছিল এই অজয় নদ। অজয় হয়ে ভাগীরথী এবং ভাগীরথী হয়ে বঙ্গোপসাগর তথা পূর্ব উপকূল। এই জলপথেই বাংলার বাণিজ্যতরী যেত সিংহলে (এখনকার শ্রীলঙ্কা)। উত্তর দামোদরের বণিকরা দামোদর থেকে খাল কেটে সেই খাল প্রবাহিত করে দিয়েছিলেন বাঁকা, খাঁড়ি, গুসকরা, কুনুর নদী পর্যন্ত।




কাছেপিঠে আরও নানা জায়গায় বেরিয়ে পড়তে ক্লিক করুন নীচের লাইনে।