
প্রাকৃতিক ভাবে ব্রণর দাগ তুলে ফেলবে এই সাতটি উপাদান, জেনে নিন কোনগুলো
ব্রণর দাগ কেন হয় –
ব্রণ হওয়ার পর চিন্তা করার কারণ নেই। একবেলার মধ্যে নাও কমতে পারে। তাই সবার আগেই নিজেকে শান্ত রাখাটা দরকার। প্রত্যেকের হাতেই অনেক ধুলো, ময়লা থাকে। যা খালি চোখে দেখা যায় না। সেই হাত বারবার মুখে দিলে, ত্বকের ছিদ্রের উপর সেই ধুলো, ময়লা বসে যায়। সেখান থেকে ব্রণ হতে পারে। আবার ভুল ডায়েট, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবারের ফলে ব্রণ হয়।
ব্রণর কারণ যাই হোক বারবার নখ দিয়ে চেপে কমানোর চেষ্টা করবেন না। অপরিষ্কার হাতে বারবার ব্রণর উপর ছুঁলে, ইনফেকশন আরও ছড়াতে পারে।
ব্রণর দাগও সেখান থেকেই হয়। তবে এর থেকে মুক্তিও পেতে পারেন। রান্নাঘরে এই সাতটি উপাদান থাকলেই হবে –
১. কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো –
শীতকাল মানেই তো কমলালেবুর মরশুম। কমলালেবুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা এমনিতেই শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তা বাদে মুখের দাগছোপও কমিয়ে দিতে পারে এই কমলালেবু। তবে ফল খাওয়া হয়ে গেলেই খোসাটা ফেলে দেবেন না। সেটাই রোদে শুকিয়ে, শুকনো খোসা ব্লেন্ডারে দিয়ে গুঁড়ো করে নিতে পারেন। সেটার সঙ্গে অল্প মধু মিশিয়ে ব্রণর দাগের উপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে, ধুয়ে ফেলুন। একদিন অন্তর একদিন এভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
২. নারকেল তেল –
শুধু চুলের জন্য নয়, মুখের ত্বকের জন্যও ভীষণ উপকারী নারকেল তেল। এতে আছে ভিটামিন এ, কে আর প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। রাতে শোবার আগে সারামুখে লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। রোজ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
৩. অ্যালোভেরা জেল –
শরীরের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে অ্যালোভেরার জুরি মেলা ভার। যেমন প্রতিদিন এর রস খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী, তেমনই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে মুখের সমস্ত সমস্যা চটজলদি মিটে যায়। ইনফেকশন কম হয়, লাল ভাব কেটে যায়। স্পর্শকাতর ত্বক যাঁদের, তাঁরাও ব্যবহার করতে পারেন। রোজ দিনে, রাতে দুবেলাতেই মাখলে দারুণ ফল পেতে পারেন।
৪. বেকিং সোডা –
জলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। ব্রণর উপর লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। বেকিং সোডা ব্রণ ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। এমনকি মুখের দাগছোপ চটজলদি তুলে ফেলতেও সাহায্য করে।
৫. পাতিলেবুর রস –
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পাতিলেবুর মধ্যে ব্লিচিংয়ের গুণ থাকে। প্রাকৃতিক ভাবে কাজ করে ফলে ত্বকের খুব একটা ক্ষতি হয় না। তবে সরাসরি শুধু লেবুর রস মুখে লাগাবেন না। জ্বালা অনুভব করতে পারেন। তাই এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাখতে পারেন। দশ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
৬. ক্যাস্টর অয়েলে –
ব্রণর দাগ তুলতে নারকেল তেলের মতোই ক্যাস্টর অয়েলও ভীষণ উপকারী। এটা ভিটামিন ই ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। শুধু পিগমেন্টেশনের জন্য না। শুষ্ক ত্বকের উপরেও দারুণ কাজ করবে। রাতে শোবার আগে লাগিয়ে, সকালে উঠে হালকা উষ্ণ জলে ধুয়ে ফেললেই হবে।
৭. হলুদ –
হলুদের গুণাগুণ সম্পর্কে সকলেই জানেন। বহু যুগ আগে থেকেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে হলুদ গুঁড়ো বা কাঁচা হলুদ অনেকেই ব্যবহার করতেন। অল্প হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণর দাগের উপর লাগিয়ে রেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তবে সপ্তাহে এক থেকে দুবার ব্যবহার করবেন।
যেগুলো খেয়াল রাখবেন –
বিশেষ যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি রোজ দিনে দুবার ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করবেন। সপ্তাহে এক থেকে দুবার স্ক্রাবার ব্যবহার করবেন। মেকআপ ঠিকমতো না মুছে ঘুমোতে যাবেন না। একইসঙ্গে প্রচুর ফল, আর দিনে ৮ গ্লাস জল খাওয়া অভ্যাস করুন।