শেষ আপডেট: 26th September 2023 09:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডেঙ্গির (Dengue) তাণ্ডব চলছে বাংলাজুড়ে। খাস কলকাতা শহরেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি। জেলায় জেলায় সংক্রমণ। একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছে। বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সাঙ্ঘাতিকভাবে। বর্ষার সময় ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বেড়েছিল। বৃষ্টির জল নামতেই মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে সচেতন থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। বিশেষ করে বাচ্চাদের সবদিক থেকেই সাবধানে রাখতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সাবধানতা বা সতর্কতা শুধু চিকিৎসকদের বা পুরকর্মীদের দায় নয়, সাধারণ মানুষকেও এর দায় ও সচেতনতায় অংশ নিতেই হবে। নাহলে মশাবাহিত রোগ ((Dengue)) আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু যে হারে হাইরাইজ তৈরি হয়, স্যাঁতসেতে ইটের পাঁজা দেখা যায়, আবর্জনার স্তূপ জমে থাকে এই শহরে তাতে ডেঙ্গি (Dengue) আটকানো কঠিন।’বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্লিচিং বা কীটনাশক দিয়ে মশাকে কিছুটা প্রতিহত করতে পারলেও তার প্রভাব আধ-এক ঘণ্টার বেশি থাকে না। তাই যে সব জায়গায় মশা ডিম পাড়ে, সেই জায়গাগুলি ধ্বংস করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
জল সে নোংরা হোক বা পরিষ্কার কিছুতেই জম থাকতে দেবেন না।
জলের বালতি ঢেকে রাখুন। বাড়ির চারপাশে যেন কোনও ভাবেই জল না জমতে পারে সে দিকে কড়া নজর রাখুন। প্রয়োজনে কর্পোরেশন, স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করুন সত্ত্বর।
অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা জমা জলে ডিম পাড়ে। আশপাশে থাকা ফুলের টব, ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত টায়ারে জল যাতে না জমে লক্ষ্য রাখুন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গির লার্ভা মরবে তিন সেকেন্ডে! মশা মারতে আমজনতাকে টেমিফস দেবে পুরসভা
জমে থাকা ইট, বালি-সিমেন্টের স্তূপে মশারা বেশি থাকে। তাই এলাকার আশপাশে একেবারেই এ সব জমে থাকতে দেবেন না। একান্তই তেমন পরিস্থিতি থাকলে চারপাশে নিয়মিত কীটনাশক ও মশা মারার স্প্রে দিন।
যত অনভ্যাসই থাক, মশারির ভিতর ঘুমোন। বাড়িতে শিশু থাকলে ও বাড়ির চারপাশ অপরিষ্কার হলে অবশ্যই সারা দিন মশারি টাঙিয়ে রাখুন।
রাসায়নিক দেওয়া মশা নিরোধক ক্রিম মাখানোর চেয়ে ঘরোয়া কিছু উপায়ে মশা দমন করুন।
একান্তই অসুবিধা থাকলে তুলনামূলক কম ক্ষতিকর ওষুধ বা তেল কিনুন। মাঝে মাঝেই বদলে দিন ওষুধ। দীর্ঘদিন একই জিনিস ব্যবহার করলে মশা তার বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
যদি জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ দেখেন, সেগুলি বাড়তে দেবেন না। শারীরিক পরীক্ষাগুলি করাতে দেরি করবেন না।
সাধারণ জ্বর হলেই শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। ডেঙ্গিতেও ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই পথ্যের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। এই সময়ে খাবার ইচ্ছে থাকে না বলে বারে বারে অল্প অল্প করে জল, সরবত, ডাবের জল, স্যুপ, টাটকা ফল বা ফলের রস দিলে ভাল হয়।
ভাইরাল ফ্লু ঠেকাতে প্রতিষেধক নিতে পারেন। কিন্তু ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো অসুখে কোনও রকম প্রতিষেধক এখনও বাজারে নেই। তাই সাবধান হতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমেই।