
সঠিক সময় ধরা পড়লে মূত্রথলির ক্যানসার ঠেকানো যায়, জেনে নিন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রক্তের ক্যানসারে মৃত্যু বাড়ছে দেশে। প্রতিবছর প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। ব্লাডার বা মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি। সাধারণত মধ্যবয়স্ক পুরুষদের এই রোগ দেখা যায়। ভারতে প্রতি ৯ জন মানুষের ১ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। যদিও এই অসুখের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে কিছু বদ অভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা ক্যানসার ডেকে আনতে সাহায্য করে। তার মধ্যে ধূমপানের নেশা ও তামাকজাত দ্রব্যের অতিরিক্ত সেবন দায়ী।
ব্লাডার ক্যানসারের কারণ কী?
এই রোগে মানুষের মূত্রথলিতে ক্যানসার দেখা যায়, অর্থাৎ মূত্রথলির কোষ অস্বাভাবিক আকারে বেড়ে ক্যানসারের আকার নেয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে ৭০% ব্লাডার ক্যানসারের মূল কারণ হল ধূমপান। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, ধূমপান করলে শুধু ফুসফুসের ক্যানসার হয়, কিন্তু পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ধূমপান ব্লাডার ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ায়।
কী কী লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন
মূত্রথলির ক্যানসার হলে কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখে সতর্ক হতে হবে–
মূত্রের সঙ্গে রক্ত পড়া
মূত্রের সময় যন্ত্রণা
জ্বালার অনুভূতি
বারবার প্রস্রাব পাওয়া
এক দিকের কোমরে ব্যথা হতে পারে।
বয়স্করা অনেক সময় মূত্রথলির অসুখকে প্রস্টেটের সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান। ফলে রোগ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু শুরুতেই যদি অসুখ চিহ্নিত করা যায়, তাহলে রোগমুক্ত হওয়ার আশা থাকে।
ঝুঁকি কমবে?
ব্লাডার ক্যানসার এড়ানোর নির্দিষ্ট কোনও উপায় না থাকলেও অবশ্যই ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। সাম্প্রতিক কালে ধূমপান যেহেতু এই রোগের প্রধান কারণ হয়ে উঠে আসছে, তাই ব্লাডার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে আজই ধূমপান ত্যাগ করুন। আর উপরে লেখা লক্ষণগুলোর সাথে কোনও সাদৃশ্য দেখা গেলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রোগ গোড়ায় ধরা পড়লে সার্জারি, কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি করে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।