
সতেজ ও জেল্লাদার চুল চান? ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চুল নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। রোদ, ধুলো-বালি, দূষণে চুলের বারোটা। তার ওপরে চুল পড়ে যাওয়া এক প্রধান সমস্যা। বহু মানুষেরই চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরণের হেয়ার প্রোডাক্ট যেমন তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ইত্যাদি পাওয়া যায়। এ সব ব্যবহারে সাময়িক উপকার হলেও সম্পূর্ণ সমস্যার সমাধান হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, চুলের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় শুধু কসমেটিক প্রোডাক্ট নয়, আমাদের ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে চুলেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শীতের সময়ে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে হওয়া খুশকি থেকে চুলের গোড়া আলগা হয়। চুল পড়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। এ সময় অনেকেই পার্লারে গিয়ে একটা স্পা করিয়ে আসেন বটে, তবে তার সঙ্গে ঘরেও প্রতিদিন চুলের যত্ন নেওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন এ, সি, ডি, ই, প্রোটিন, জিঙ্ক এবং আয়রনের মতো উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো চুলকে সজীব রাখে।
নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কোন কোন খাবার রাখলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, সেই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. ডিম- চুলের জন্য ডিমের পুষ্টি খুব প্রয়োজন। ডিমে থাকে প্রোটিন ও বায়োটিন। এছাড়াও ডিমে জিঙ্ক, সেলেনিয়াম রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে খাবারের তালিকায় ডিম রাখলে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি হয়। চুল আরও মজবুত হয়।
২.পালং শাক- পালং শাকের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগুণ আমরা সবাই জানি। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন রয়েছে এতে। যার কারণে চুল পড়ার সমস্যা প্রতিরোধ করতে এবং চুল ঘন ও মজবুত করে তুলতে সাহায্য করে পালং শাক।
৩. মাছ- ভাল চুলের জন্য প্রতিদিন ডায়েটে মাছ রাখা আবশ্যক। মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের চুল পড়া রোধ করে। চুলের উজ্জ্বলতা ও ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. ওটস- জিংক, ওমেগা -সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং পলিঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে ওটসে। প্রতিদিন এক বাটি ওটস খেলে চুল ঘন ও মজবুত হয়।
৫. বাদাম- প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল। এগুলো চুলের গঠনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। চুলের বৃদ্ধিকেও ত্বরান্বিত করে বাদাম।