
গ্লাসের পর গ্লাস জল খেয়েও হেঁচকি কমছে না? ঘরোয়া উপায় রেহাই মিলবে এভাবে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নামে ‘শীর্ষা’ হলেও শীর্ষে আর ওঠা হয় না ওর। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী। স্কুল থেকে কলেজ, সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণের প্রথম দিকেই নাম থাকত। তবে সমস্যা একটাই। নার্ভাস হয়ে গেলেই হেঁচকি ওঠা শুরু হয় শীর্ষার। সেদিন চাকরির ইন্টারভিউয়ে দ্বিতীয় প্রশ্ন থেকেই আবার শুরু! এই চাকরিটাও বুঝি হাতছাড়া হয়ে গেল! কী যে করে মেয়েটা!
আমরা সবাই কম-বেশি হেঁচকির সঙ্গে পরিচিত। খাওয়ার সময় অতিরিক্ত ঝাল লাগলে, কাশি হলে, গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজের মাঝে, অফিসে জরুরি মিটিংয়ের মাঝে বা ঘুমের মধ্যেও হেঁচকি ওঠে অনেকের। সময়ে থেমে গেলে ভাল, নইলে চরম অস্বস্তিকর আর বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। হেঁচকি নিয়ে জীবনে কখনও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়নি, এমন মানুষ বিরল।
ফুসফুসের নীচের পাতলা মাংসপেশির স্তর ডায়াফ্রামে হঠাৎ সংকোচনের হলে হেঁচকি ওঠে।
হেঁচকি উঠলে বেশিরভাগ সময় কিছুক্ষণ পর নিজে নিজেই থেমে যায়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে হেঁচকি দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। জল খেলেও কমে না।
জল খেলে কি হেঁচকি কমে? চট করে হেঁচকি কম করতে কি করবেন?
জল খেলে হেঁচকি কমে। তাই হেঁচকি উঠলে বেশি করে জল খান। বিশেষ করে ঠান্ডা জল খেলে তাড়াতাড়ি সমস্যা থেকে উপকার পাবেন।
খাবার সময় হেঁচকি ওঠার সমস্যা থাকলে ধীরে ধীরে খান। ঝাল খাবারে হেঁচকির সমস্যা থাকলে ঝাল খাবেন না।
গরম দুধ বা মাখন খেতে পারেন অনবরত হেঁচকিতে।
হঠাৎ হেঁচকি উঠলে এবং তা চটজলদি বন্ধ করতে চাইলে একবার লম্বা শ্বাস নিয়ে ভেতরে যতক্ষণ সম্ভব বন্ধ রেখে আস্তে আস্তে প্রশ্বাস ছাড়ুন।
অনবরত হেঁচকি উঠতে থাকলে এক চামচ চিনি খেতে পারেন। সমস্যা কমতে পারে।
হেঁচকি বন্ধ করার জন্য একটু লেবুর রস বা ভিনিগার অল্প পরিমাণে খেয়েও দেখতে পারেন। এটি হেঁচকি বন্ধ করতে বেশ কার্যকর।
দুই কানের ভিতর দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে কিছু ক্ষণ চুপচাপ থাকুন। দেখবেন হেঁচকি ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেছে।