
টান টান ভাব? শীতে ত্বকের যত্নে সেরা টক দই
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শীত এলেই দইকে ভুলতে বসেন মানুষ। গরমের দিনে যত তার কদর, শীতে যেন তার এতটুকুও নেই। একটা ভুল ধারণা আছে, দই খেলে নাকি ঠান্ডা লাগে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দই সারা বছরই খাওয়া যায়। এর সঙ্গে ঠান্ডা লাগার কোনও সম্পর্ক নেই। আর ত্বকের জন্য দারুন ভাল টক দই। শীতের শুষ্ক রুক্ষ দিনে দই ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন রূপ বিশারদরা। শীতে ত্বকের আর্দ্রতায় ভাঁটা পড়ে। ত্বক হয়ে যায় নিস্প্রাণ, জেল্লাহীন। এমন অবস্থায় ত্বকের প্রাণ ফেরাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে টক দই।
কীভাবে? চলুন জানি…
- শীতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান কম থাকে। তাই ত্বক তার প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দইয়ে থাকা ভাল ব্যাকটিরিয়া ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে
- শীতে অনেকেরই খুশকির কারণে ব্রণ বা অ্যাকনে হয়। দইয়ের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রপাটি অ্যাকনে কমাতে সাহায্য করে
- শুষ্ক ত্বকে বলিরেখা খুব সহজে পড়ে। শীতে তাই ত্বকের বয়স আরও বেশি দেখায়। দই প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের বয়স ও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে
- দইয়ে শুষ্ক, ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক প্রাণ ফিরে পায়। দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে প্রাণোচ্ছ্বল করে তোলে
- ত্বকের ওপেন পোর্সের সমস্যায় দারুণ কার্যকরী টক দই
- দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিডে থাকা ব্লিচিং প্রপাটি ত্বকের রং হালকা করে। তাই যাদের পিগমেন্টেশনের সমস্যা রয়েছে, তারা শীতকালে ত্বকে টক দই অবশ্যই লাগান
- খুব ঠান্ডার জন্য আমরা শীতে রোদের তাপটা ঠাহর করতে পারি না। এদিকে মিঠে রোদ পোহাতে গিয়ে ত্বকে বেশ কড়া রকমের ট্যান পড়ে যায়। সান ট্যান বা সানবার্ন রোধ করতেও দইয়ের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।