
ট্যাটু করাবেন ভাবছেন? ঠিকঠাক নিয়ম না মানলে কিন্তু বিপদ
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগে ছিল উল্কি। পৃথিবী জুড়েই অল্প বিস্তর প্রচলন। কিছু কিছু সম্প্রদায় জীবনের বিশেষ কোনও ঘটনা বা স্মৃতি স্মরণীয় করে রাখতে শরীরে এই উল্কি বা ট্যাটু করে রাখতেন। তবে দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে ট্যাটুর কার্যকারণ বদলে গেছে। ট্যাটু এখন বর্তমান প্রজন্মের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। শুধু নাম, চিহ্নই এখন ট্যাটুর বিষয়বস্তু নয়। আধুনিক ট্যাটু শিল্পে গোটা শরীরটাকেই অনেকে ক্যানভাসে পরিণত করছেন। ট্যাটু নিয়ে ট্যাবুও কেটে গেছে অনেকাংশে। তবে ট্যাটু যে কারণেই আপনি করান না কেন, কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। কারণ ট্যাটু থেকে শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই সেই সব সমস্যা এড়িয়ে চলতে ট্যাটু করাবার আগে ও পরে মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম। রইল স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন…
১) ট্যাটু করতে কিন্তু ব্যথা লাগবেই, তাই প্রথমেই সেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
২) আবেগের বশে ট্যাটুতে প্রেমিক, প্রেমিকার নাম লেখার আগে সতর্ক হোন। ট্যাটু কিন্তু তুলে ফেলা খুব সহজ বিষয় নয়। পেশা জীবনে ট্যাটু সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হতে পারে কিনা, তাও আগেভাগে জেনে নিন।
৩) শরীরের কোন জায়গায় ট্যাটু করতে চাইছেন, তা আপনার ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞকে সবিস্তারে জানান। ট্যাটু করার আগে অবশ্যই জানুন আপনার শিরাগুলোর অবস্থান। সঙ্গে এটাও দেখুন, ট্যাটুটা কোনও ক্ষতস্থানে হচ্ছে না তো! ত্বকের ধরণ জানুন। কোনও অ্যালার্জি, চুলকানি, র্যাশের আশঙ্কা আছে কিনা, সে বিষয়ে আগে নিশ্চিত হন। শরীরের কোন জায়গায় ট্যাটু নিরাপদ, তা ভাল করে খোঁজ খবর নিন।
৪) ঠিক করুন কোথা থেকে ট্যাটু করবেন। এখনও গ্রামে গঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, রাস্তায় বসেই কিছু মানুষ ট্যাটু করছেন। এ সব জায়গায় বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় হাইজিন মেনে চলা হয় না। তাই হুটহাট এমন জায়গায় বসে পড়বেন না। ভাল করে খোঁজ নিয়ে, প্রতিষ্ঠানের রেটিং দেখে তারপর ট্যাটু করুন।
৫) ট্যাটু করানোর আগে অন্তত ৫-৬ দিন বেশী পরিমাণে জল খান। যাতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
৬) ট্যাটু করার আগেই ট্যাটু পার্লারে খোঁজ নিন সেখানে হাইজিন কতটা মেনে চলা হবে। আপনার ট্যাটু করার জন্য যেন নতুন সূচই ব্যবহার করা হয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত হন। মনে রাখবেন, ব্যবহার করা সুঁচ থেকে কিন্তু হাজারো সংক্রামক রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। একাধিক ব্যক্তিকে একই সুঁচ দিয়ে ট্যাটু করলে তাতে রক্তবাহিত রোগ যেমন- এইডস, হেপাটাইটিসের মতো রোগের সম্ভবনা বেড়ে যায়। তাই সাবধান। পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত এবং ডিসপোজেবল নিডেলই একমাত্র ট্যাটু নিরাপদ, মাথায় রাখুন।
৭) ট্যাটু করানোর সময় খেয়াল রাখুন, ট্যাটু করার যন্ত্রপাতি যেন পরিষ্কার থাকে। ট্যাটু শিল্পী গ্লাভস পরেছেন কিনা, তা অতি অবশ্যই দেখুন।
৮) ট্যাটু করার পর ট্যাটুর স্থান পরিষ্কার করার সময় অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিতে ভুলবেন না। ঈষৎ উষ্ণ গরম জল ও পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করুন পরিষ্কারের সময়।
৯) ত্বকের নমনীয়তার দিকেও নজর রাখুন। ট্যাটু বানিয়ে নিয়ে তাতে কী ধরনের ওষুধ বা ক্রিম দেওয়া হচ্ছে তা নিজেই একবার যাচাই করে দেখে নিন।
১০) ট্যাটু হয়ে যাবার পর দুই থেকে তিন সপ্তাহ ট্যাটুর জায়গাটাকে যতটা সম্ভব ধুলো, বালি, ময়লা বা জলের সংস্পর্শ থেকে বাঁচিয়ে চলুন।