
হাঁটুন ভালবেসে হাঁটুন, নিয়মগুলো জানেন তো?
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বর্ষ–২০৫১। বছর ৩০–এর এক মহিলার প্রেসক্রিপসনে লেখা— ‘রোজ অন্তত আধঘণ্টা হাঁটুন’। অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এমনটাই হবে। প্রযুক্তির কল্যাণে অফিস যেমন উঠে এসেছে ড্রয়িং রুমে, লিফট যেমন কেড়ে নিয়েছে ধীর পায়ে উপরে ওঠার সিঁড়ি। তেমন পায়ে হাঁটা পথ বেয়ে গেছে টোটো, অটো, রিক্সা। এখন লোকে হাঁটার একান্ত প্রয়োজন হলে ঘরে ট্রেডমিলে হাঁটেন। তাহলে ৩০ বছর পর পায়ে হাঁটার কথাও যে প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারদের লিখতে হতে পারে, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। আসলে হাঁটার উপকারিতা এতটাই যে, শুধু হেঁটেই দূরে রাখা যায় অসুখ–বিসুখ। তবে হাঁটারও নিয়ম আছে। চলুন জানি…
রোজ হাঁটুন, নিয়মগুলো জেনে রাখুন–
◗ হাঁটার জন্য সবচেয় ভাল বিকেলবেলা। শীতের সময় ভোরের দিকে চারপাশে ঘন ধোঁয়াশার আবরণ থাকে, তা ছাড়া ঠান্ডা লেগে যেতে পারে, তাই সব সময়ের জন্যই বিকেলবেলা হাঁটা সবচেয়ে ভাল।
◗ রোজ অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটলে সবচেয়ে ভাল।
◗ একদম খাওয়ার আগে বা পরে হাঁটা ঠিক নয়। অন্তত ১০ মিনিটের ব্যবধান থাকলে ভাল।
◗ খুব ধীর গতিতে হাঁটলে হাঁটার উপকার সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। তার চেয়ে একটু জোরে হাঁটাই ভাল। তবে খেয়াল রাখতে হবে, হাঁটাটা যেন দৌড়নো না হয়ে যায়। একটা মাঝামাঝি গতি হাঁটার সময় বজায় রাখুন।
কেন হাঁটবেন?
◗ হাঁটলে ভাল থাকে হার্টের স্বাস্থ্য। নিয়মিত হাঁটলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
◗ প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে।
◗ হাঁটলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে, ফলে আর্টারি ব্লক হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। কমে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।
◗ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে হাঁটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কম।
◗ হাঁটলে মন ভাল থাকে। স্ট্রেস কম হয়।
◗ গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত হাঁটলে ৬০% পর্যন্ত কোলন ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে
◗ হাঁটলে দেহের পেশী সচল থাকে। পা ও পায়ের আঙুলের পাশাপাশি কোমর এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও ব্যায়াম হয়। ফলে উপশম হয় সন্ধিস্থলের ব্যথারও।