
ছাতুর বাজিমাৎ! রোগ থেকে বাঁচতে ভরসা থাকুক ছাতুর সরবতে
শরীরকে রোগ মুক্ত করে
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত ছাতুর সরবৎ খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
এনার্জি বাড়ায়
ছাতু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিমেষে উপকারী উপাদানগুলি রক্তে মিশে যায়। ফলে সঙ্গে সঙ্গে এনার্জির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের ভিতরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণ হওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীর এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা নিয়মিত জলখাবারে ছাতুর সরবৎ খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
নিয়মত ছাতু খেলে সহজে হজম হয়
ছাতু সহজে হজম হয়। এটি অনেকটা ইউসুফগুলের মতোই হজমশক্তি বাড়ায়। শরীরের দাহ (জ্বালা), অস্থিরতা কমায়। খাবারের রুচি বাড়ে। রক্তের টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণ করে ক্লান্তি দূর হয়,শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বাড়ে।
রক্তচাপ ও কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ
রক্তচাপ ও কোলেস্টরেল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে ছাতুতে উপস্থিত শর্করা খুব ধীরে ধীরে রক্তে মিশে থাকে। ফলে ডায়াবেটিক রোগীরও ইচ্ছা হলে ছাতু খেতে পারেন।
শিশুদের জন্য উপকারী
শরীরের যথাযত বৃদ্ধির জন্য যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন পরে তা সবই উপস্থিত রয়েছে ছাতুতে। তাই তো বাজার চলতি হেলথ ড্রিঙ্কের পরিবর্তে নিয়মিত যদি শিশুদের ছাতু খাওয়ানো যায়, তাহলে দারুন উপকালে লাগে।
স্টমাকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ছাতুর সরবত নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার হাতে থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। এখানেই শেষ নয়। আরও নানা উপকারে লাগে ফাইবার। যেমন ধরুন, প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে যে পরিমাণ তেল আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তা স্টমাক থেকে বের করে দিতে এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।