শেষ আপডেট: 26th June 2023 14:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে ইতিমধ্যেই। ঝমঝমে বৃষ্টিতে ভিজছে উত্তর থেকে দক্ষিণ। এই আবহাওয়ায় অনেকেই ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। তবে বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার যাওয়ার অনেক সমস্যা রয়েছে। পাহাড়ে ধস নামে, বেশিরভাগ জায়গাতে জঙ্গল সাফারিও বন্ধ থাকে। আবার বৃষ্টির মধ্যে সমুদ্রে যাওয়াও মুশকিল। তাই নিতান্তই যদি এই সময়ে ঘুরতে যেতে চান, তাহলে ঘুরে আসুন কেরলের ভেম্বানাদ হ্রদ ঠিক। ঝমঝমে বৃষ্টির মধ্যে নৌকাবিহার, কিংবা হাউসবোটে থাকা, একেবারেই অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
ভেম্বানাদ হ্রদ হল কেরলের বৃহত্তম মিষ্টি জলের হ্রদ। শুধু কেরলের নয়, ভারতেরও বৃহত্তম হ্রদ এটি। কোয়াত্তাম, এর্নাকুলাম এবং আলাপুঝা জেলা মিলিয়ে ২০৩৩ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই হ্রদ। এই লেক তৈরি হয়েছে ক্রলের বিখ্যাত ব্যাকওয়াটার দিয়ে। চারপাশে নারকেল গাছে ঘেরা এই হ্রদের মধ্যেই ক্রুজের ব্যাবস্থা রয়েছে। ছোট কাঠের নৌকায় করে ঘুরে আসা যায় লেকের মধ্যে। এছাড়া কাশ্মীরের বিখ্যাত ডাল লেকের মতোই এখানেও রয়েছে হাউসবোটে থাকার ব্যবস্থা। এই লেকের মধ্যেই রয়েছে ছোট ছোট দ্বীপ, খাল, এবং ঘূর্ণি। ঐতিহ্যবাহী কাঠের নৌকায় চড়ে সেগুলিতে ঘুরে আসা যায়।
কুমারকোম পাখি অভয়ারণ্যের পাশ দিয়েও গেছে হ্রদটি। ফলে পক্ষীপ্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে এখানে। এই অভয়ারণ্যে অজস্র প্রজাতির পাখি রয়েছে। শীতের সময় পরিযায়ী পাখিরায় আস্তানা গাড়ে এখানে।
কেরলের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে চাইলে আপনাকে নেহেরু ট্রফি বোট রেসের সাক্ষী থাকতেই হবে। যে হ্রদে এই ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা হয় তাকে পুনমদা লেক বলা হয়। তবে এটি ভেম্বানাদ লেকের স্থানীয় নাম মাত্র। প্রতি বছর আগস্ট মাসে ঐতিহ্যবাহী স্নেক বোট রেস অনুষ্ঠিত হয়। এই নৌকা প্রতিযোগিতা দেখার মতো।
এই হ্রদে মাছ চাষও করা হয়। মৎস্যজীবীরা এখান থেকে মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। চাইলে তাঁদের মাছ ধরার কৌশলও স্বচক্ষে দেখে আসতে পারবেন। এই হ্রদের মাঝেই রয়েছে পাথিরামনাল নামে একটি ছোট সুন্দর দ্বীপ। এই নিঃসঙ্গ দ্বীপে শুধুমাত্র নৌকায় করেই যাওয়া যায়।
কীভাবে যাবেন
বিমানপথে যেতে চাইলে ভেম্বানাদ হ্রদের নিকটতম বিমানবন্দর হল কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এছাড়া ত্রিবান্ধাম বিমানবন্দর হয়েও যাওয়া যায়। ট্রেনে যেতে চাইলে সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশন হল কোয়াত্তাম। বাসে যেতে চাইলে কোয়াত্তাম থেকে কেএসআরটিসির বাস রয়েছে।
কোথায় থাকবেন
বর্ষায় লেকের রূপ চাক্ষুষ করতে চাইলে অবশ্যই থাকতে হবে হাউসবোটে। তবে নিতান্তই তা না চাইলে হোটেল কিংবা রিসর্টে থাকতে পারেন। জনপ্রিয় পর্যটনস্থল হওয়ায় হ্রদের আশেপাশের শহরগুলিতে আয়ত্তের মধ্যেই অজস্র হোটেল রয়েছে।
বর্ষায় ডুয়ার্সের এই গ্রাম যেন মেঘেদের ঘরবাড়ি! বৃষ্টিস্নাত জঙ্গলে পাখির ডাক শুনতে যাবেন?