শেষ আপডেট: 7th March 2025 17:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেক ধরনের ডায়েট করি। লাইফস্টাইলেও পরিবর্তন আনি। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, কিটো, প্যালিও, হাইপ্রোটিন ডায়েট, এগুলো কম-বেশি সবই লোকজনের কাছে জনপ্রিয়। কিন্তু এর মধ্যেও সম্প্রতি সেলেব থেকে সাধারণ মানুষ যে ডায়েট বেশি ফলো করছেন, তা হল ক্যালোরি ডেফিসিট ডায়েট। কিন্তু ওজন কমাতে এটা আদৌ কতোটা কার্যকর সেনিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দীর্ঘমেয়াদে এর ফল কেমন, সেবিষয়েও দ্বিমত রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি অবশ্য অন্য।
ক্যালোরি ডেফিসিট কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?
শরীর সুস্থভাবে কাজ করার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। ওয়েবএমডি-র মতে, ক্যালোরি ডেফিসিট তখনই ঘটে যখন আপনি শরীরের চাহিদার তুলনায় কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। ফলে শরীরের হরমোনের স্তর ও জলীয় ভারসাম্যে পরিবর্তন আসে, যা ফ্যাট বার্ন করে।
কম ক্যালোরি মানেই কি কম খাওয়া?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেবারেই না। পুষ্টিবিদ মোহিতা মাস্কারেনহাস জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ মানুষ সেডেন্টারি লাইফস্টাইল (কম সক্রিয় জীবনযাপন) অনুসরণ করেন, যার ফলে ক্যালোরি খরচ কম হয় এবং ওজন কমানো চাপের হয়ে ওঠে। তাই সঠিক পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ক্যালোরি ইনটেক করা জরুরি।
ক্যালোরি ডেফিসিটের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব
ওজন আদতে বাড়ে
প্রথমদিকে ওজন কমলেও দীর্ঘমেয়াদে এর তেমন প্রভাব দেখা নাও যেতে পারে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডিম্পল জাঙ্গদা বলেন, 'শরীর শক্তি সংরক্ষণ করতে শুরু করে, ফলে ডায়েট বন্ধ করার পর ওজন আবার বেড়ে যেতে পারে।'
পেশির ক্ষতি হতে পারে
ক্যালোরি ডেফিসিটের ফলে শরীরে ক্লান্তি, মাথাব্যথা হতে পারে। দুর্বলও লাগতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে পেশি বা মাসল ভেঙে এনার্জি তৈরি হয়।
পুষ্টির ঘাটতি
যদি খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও শাকসবজি না থাকে, তাহলে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে পেশি পুনরায় তৈরি হতে বাধা পায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
তাই যদি কেউ ক্যালোরি ডেফিসিট ডায়েট করেন, তবে অবশ্যই সঠিক পুষ্টি ও ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। ওজন কমাতে শুধুমাত্র কম খাওয়ার ওপর নির্ভর না করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রম নিয়মিত বজায় রাখাই দীর্ঘমেয়াদে উপকারী হতে পারে।