শেষ আপডেট: 5th February 2024 13:50
এই জানুয়ারিতেই সানাই বাজিয়ে খুব ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছে পর্ণা সৃজনের। ভালবাসার বিয়ে নয়, বিয়ের পর জমিয়ে ভালবাসা। ভালবাসতে বাসতেই আসতে চলেছে ভালবাসার দিন। ভ্যালেন্টাইন'স ডে। বিয়ের পর প্রথম প্রেমদিবস। উদযাপন তো মাস্ট। শুধু লাল গোলাপ, ক্যান্ডেল লাইট ডিনার আর চকোলেটে তো জমবে না জীবনের প্রথম প্রেমদিন। এমন দিনে পর্ণাকে সোনার গয়না তো একটা দিতেই হবে। কিন্তু...
আসলে সদ্য অনেক টাকা খরচ হয়েছে বিয়েতে। তাই এই মুহূর্তে সৃজনের পক্ষে হাই বাজেট আফোর্ড করা সম্ভব নয়। বিয়ের সময় পর্ণার জন্য সব গয়না পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স থেকে কিনেছিলেন সৃজনের মা। এমনকী ফুলশয্যার রাতে যে ডায়মন্ড রিংটা সৃজন দিয়েছে পর্ণাকে, সেটাও বোনের সঙ্গে পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের শোরুমে গিয়ে কিনেছিল সে। কিন্তু এখন খুব বেশি হলে হাজার দশেক টাকা বাজেট তার। কী করা যায় ভাবতে ভাবতে বোন কলিকে ফোন করল সৃজন। কেনাকাটার ব্যাপারে কলি তার একমাত্র গাইড। কাজের কারণে এখন ব্যাঙ্গালোরে থাকে কলি। ওখানে বসেই সৃজনের শপিং ডেস্টিনেশন ঠিক করে দেয়।
সেদিন সৃজনের ফোন বাজছে দেখেই মনে মনে হাসল কলি, বলল, 'বুঝতে পেরেছি দাদাভাই, ভ্যালেন্টাইন'স ডে আসছে। আর তাই আমাকে মনে পড়েছে তোর। বউদিভাইয়ের জন্য কী কিনবি তার সাজেশনস চাই, তাই তো?'
হো হো করে হাসতে হাসতে সৃজন বলল,'আরে তুই কি এখন ট্যারট কার্ড রিডার হয়েছিস নাকি? সব বুঝে যাচ্ছিস দূরে বসে!'
'বউদিভাইকে কী ধরনের গিফট দিতে চাস বল? আমি হেল্প করছি।'
'বিয়ের পর প্রথম ভ্যালেন্টাইন'স ডে বলে কথা। একটা জম্পেশ জুয়েলারি গিফট না করলে চলে? কিন্তু তুই তো জানিস তোর দাদাভাইয়ের পকেট এখন হালকা। মুশকিল আসান করবি কী করে তুইই ভেবে দ্যাখ।'
'আরে ধানাইপানাই না করে বাজেটটা তো বলবি। দেখি তাতে কী জুয়েলারি কেনা যায়।'
'টেন, ওনলি টেন কে। কিছু হবে রে দশ হাজারে?'
‘আলবাত হবে। পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স অনলাইন স্টোরে লগ ইন কর। দ্যাখ কত্ত ইউনিক ডিজাইনের পেন্ডেন্ট, ইয়ার রিংস, ইয়ার টপ, ফিঙ্গার রিং রয়েছে।'
অবাক হয়ে গেল সৃজন।
'আরে ঠিক শুনেছিস তো কলি, আমার বাজেট কিন্তু টেন কে। এই বাজেটে পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সে গয়না আছে?'
'আছে রে বাবা আছে। আমি তোকে ওয়েবসাইট লিংকটা দিচ্ছি। www.pcchandraindia.com তুই সাইটটায় ঢুকে তোর পছন্দের জুয়েলারিতে ক্লিক কর। ডিটেলস পেয়ে যাবি। কতটা সোনা আছে, মেকিং চার্জ কত, সোনার ক্যারেট কত-সব কিছু পাবি।'
'ক্যারেট -সেটা আবার কী? এত জটিল জটিল বিষয় বলিস কলি যে আমি পাজলড হয়ে যাই।'
'পাজলড হওয়ার তো কিছু নেই। পি সি চন্দ্র অনলাইন স্টোরে তিন রকম কোয়ালিটির সোনার গয়না পাওয়া যায়। ২২ক্যারেট, ১৮ক্যারেট আর ১৪ ক্যারেট। বুঝতেই পারছিস ১৪ ক্যারেট বা ১৮ক্যারেট সোনার দাম কম পড়বে।'
'বুঝলাম। যে ক্যারেটই হোক পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স যখন, তখন চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।'
'চোখ বন্ধ করলে তোর সুইট হার্টের জন্য ডিজাইন পছন্দ করবি কী করে দাদাভাই?'
'বড্ড ফোক্কড় হয়েছিস কলি। ল্যাদ না খেয়ে তুইও ল্যাপটপটা খোল। www.pcchandraindia.com থেকে একটু ডিজাইন বেছে দে।'
' আমি! কেন রে?'
' প্লিজ কলি, হেল্প। আমি কি একা একা গয়না কিনেছি কখনও?'
'আচ্ছা তুইও দ্যাখ ওয়েবসাইটটা। চল আমরা একসঙ্গে খুঁজি। আমি যতটুকু দেখেছি বউদিভাই স্লিক জুয়েলারি পছন্দ করে।'
দেখতে দেখতে সৃজনের চোখ আটকে গেল একটা পেন্ডেন্টে। হার্ট শেপের, মাঝে একটা রেড স্টোন ঝলমল করছে। ডিটেলে গিয়ে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল সৃজনের। বাজেট কিছুটা এক্সিট করে যাচ্ছে। থারটিন কে'র কাছাকাছি।
ততক্ষণে কলি একটা ইয়ার টপ সিলেক্ট করেছে হার্ট শেপের। সেটারও মাঝে লাল পাথরের ঝলক। স্ক্রিন শট পাঠিয়েছে কলি। দামটা বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলি। আট হাজার মতো। সৃজন তার পছন্দ করা পেন্ডেন্টের স্ক্রিন শট পাঠাতেই উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটতে লাগল কলি।
'আরে এতো পুরো ম্যাচিং সেট হয়ে গেছে দাদাভাই। বাজেট একটু বাড়ালেই তো পুরো হার্ট সেট হয়ে যাবে। প্রথম ভ্যালেন্টাইন'স ডে। পুরো সেট অর্ডার কর। বউদিভাই খুশিতে তোকে কী যে করবে তুই ভাবতেও পারছিস না।'
'পাকামি করিস না। শোন তোর সিলেক্ট করা ইয়ার টপটাই নিয়ে নিচ্ছি। বাজেটের থেকেও কমে হয়ে যাবে।'
'কিপ্টেমি করিস না। এখন পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স অনলাইন স্টোরেও ভ্যালেন্টাইন'স ডে অফার শুরু হয়েছে। কাজেই অনেকটা ডিসকাউন্ট পাবি।'
'তথাস্তু' হাসতে হাসতে বলল সৃজন। প্রথম প্রেম দিনে পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের জুয়েলারি গিফট পেয়ে পর্ণার চোখদুটো কেমন আলোময় হয়ে উঠবে ভেবে খুশিতে আরও খানিকটা হেসে নিল মনে মনে।
কথা হচ্ছিল পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের অন্যতম ডিরেক্টর শুভ্র চন্দ্রর সঙ্গে। বললেন,' ইয়াং জেনারেশন এখন অনলাইন শপিংয়ে বেশি অভ্যস্ত। তাই ভ্যালেন্টাইন'স ডে স্পেশাল প্রচুর ডিজাইন এসেছে পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স অনলাইন স্টোরে। ফোরটিন্থ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকছে নানান অফারও।'
কিনতে গেলে ক্লিক করতে হবে www.pcchandraindia.com