শেষ আপডেট: 19th June 2023 14:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোলো ট্রিপ হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাচেলর্স ট্রিপ, কিংবা মধুচন্দ্রিমা, গোয়া সবসময়ই দু-হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পর্যটকদের। দেশি, বিদেশি ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় লেগেই থাকে আরব সাগরের তীরে নীল জলের এই সৈকত-শহরে। খাওয়া দাওয়া, বেড়ানো, দুর্দান্ত নাইটলাইফ, সব মিলিয়ে দিঘা-পুরী-মন্দারমণির তুলনায় গোয়া অনেকটাই আলাদা। জেন-ওয়াইয়ের কাছে এই শহর যাকে বলে 'হ্যাপেনিং'। আজ সেই গোয়ার এমন একটি সৈকতের সন্ধান দেব আপনাদের, যেখানে পর্তুগিজ শাসনের স্মৃতি রয়ে গেছে আজও। শহরের স্থাপত্যশৈলীর আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে বিদেশি ব্যবসায়ীদের ছোঁয়া। এই জায়গাটি হল ক্যানডোলিম (Candolim) সমুদ্র সৈকত।
পাঞ্জি শহরের পাশেই অবস্থিত এই সৈকত। বলে রাখা ভাল, গোয়া খুবই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র হওয়ার কারণে এই সৈকত কিন্তু সবসময়েই জনাকীর্ণ থাকে। তাই নিরিবিলিতে ছুটি কাটানোর সুযোগ এখানে মিলবে না। কিন্তু ভিড় থাকলেও প্রকৃতির শোভা মন ভরিয়ে দেবে, সেকথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। অর্ধচন্দ্রাকার এই সৈকতকে ঘিরে রয়েছে নারকেল গাছের সারি। চিকচিকে বালির মধ্যে খেলা করে আরব সাগরের নীল জল।
এই সৈকত এলাকায় এখনও বেশ কিছু পর্তুগিজ পরিবার বাস করেন। পর্তুগিজ স্থাপত্যের চিহ্নও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চারপাশে। সৈকতের অদূরেই আছে আগুয়াদা দুর্গ। সেখানে ঘুরতে যেতে ভুলবেন না। পাশের পাঞ্জি শহরে ঘুরে টুকটাক কেনাকাটাও সেরে নিতে পারেন। এই সৈকতে ডলফিন দেখতে পাওয়া যায়। তবে তার জন্য নৌকা ভাড়া করে যেতে হবে সমুদ্রের কিছুটা গভীরে। মূলত ভোরবেলায় দেখা পাওয়া যায় ডলফিনের দলের। ব্যক্তিগত ক্রুজ ভাড়া করারও সুবিধা রয়েছে। তবে তার জন্য বাজেট বাড়বে অনেকটাই। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসেরও সুযোগ রয়েছে ক্যানডোলিম বিচে। প্যারাসেলিং এবং ওয়াটার স্কিইং করার সুযোগ রয়েছে এখানে।
কখন যাবেন
ক্যানডোলিম সৈকতে ভ্রমণের সেরা সময় হল নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু এই সময় ভিড় বেশি থাকে। স্বভাবতই হোটেল রেস্তোরাঁগুলির দামও বেশি হয়। ডিসেম্বর মাসে গোয়াতে বিখ্যাত ‘সানবার্ন’ অনুষ্ঠান হয়। তখন প্রচুর পর্যটক আসেন এখানে। তবে অফ সিজনে গেলে খরচ কমে যাবে অনেকটাই।
কোথায় থাকবেন
ক্যানডোলিম সৈকতে আশেপাশে অজস্র হোটেল-রিসর্ট রয়েছে। এছাড়া চাইলে পাঞ্জি শহরেও থাকতে পারেন।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে সরাসরি গোয়া যাওয়ার একটিই ট্রেন রয়েছে। সেটি হল অমরাবতী এক্সপ্রেস। শিয়ালদহ থেকে ছাড়ে এই ট্রেনটি। বিমানে যেতে চাইলে কলকাতা থেকে ডাবোলিম বিমানবন্দরে নামতে হবে। তারপর গাড়িতে ক্যানডোলিম।
হাওয়া বদল করতে ‘পশ্চিমে’ যাবেন? ব্রিটিশ স্থাপত্যের স্মৃতিমাখা এই শহর আপনারই অপেক্ষায়