শেষ আপডেট: 14th December 2023 16:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বড়দিনে পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কিন্তু টিকিট পাচ্ছেন না! সত্যিই এখন উত্তরবঙ্গের যাওয়ার টিকিট পাওয়া এক দুঃসাধ্য কাজ বটে। দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই দক্ষিণবঙ্গের এই ৩ জায়গায় গেলে মন ভাল হয়ে যাবে।
অনেকেই আছেন যাদের বেশি ঠান্ডায় পাহাড়ে গেলে শারীরিক কষ্ট হয় বা অতিরিক্ত ঠান্ডা সহ্য হয় না। তাদের জন্য রইল এই দুর্দান্ত ৩ জায়গার সন্ধান।
১) বাঁকিপুট
বিচ বললেই যারা দিঘা, পুরী বা মন্দারমণি বোঝেন তাদের জন্য রইল বাংলার এই 'ভার্জিন বিচ' এর সন্ধান। পূর্ব মেদিনীপুরে অবস্থিত এই বাঁকিপুট বিচ। দিঘা, পুরীর তুলনায় ভিড় অনেক কম। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক, ঘন ঝাউবন আর শান্ত সমুদ্র সৈকতে এবারের বড়দিন কাটানোর জন্য যেতে পারেন বাঁকিপুটে।
মোহনার খুব কাছে রয়েছে এই বিচ ফলে চারদিকের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার মতো। লাল কাঁকড়ার ভিড় আর জোয়ারের সময় সমুদ্রে স্নান সেরে পেট পুরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুরে আসুন জনপুট নামের আরও এক সমুদ্র সৈকত থেকে। এছাড়া বাঁকিপুট থেকে যেতে পারেন কপালকুন্ডলা মন্দির, দরিয়াপুরের বাতিঘর বা পেটুয়াঘাটের মৎস্যবন্দরেও।
২) আগরহাটি
শীতকালে বেড়াতে যাওয়ার অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা সুন্দরবন। সুন্দরবনের মধ্যেই রয়েছে খুব সুন্দর একটি অফবিট ডেস্টিনেশন আগরহাটি। এই নতুন পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে ক্যানিং-এর খুব কাছেই। বড়দিনে লং ড্রাইভে বেরনোর পরিকল্পনা থাকলে আপনার চারচাকা বা দুচাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন আগরহাটির উদ্দেশে।
কলকাতা থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে এই নির্জন জায়গায় পৌঁছতে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। এখানে রয়েছে ছোট বড় প্রচুর রিসোর্ট। এছাড়া আপনি চাইলে বিদ্যাধরী বা ইছামতী নদীর ধারে টেন্ট খাটিয়ে উপভোগ করতে পারেন শীতের আমেজ।
৩) দুয়ারসিনি
পুরুলিয়া নিশ্চয় গেছেন? গরমকালে একরকম সৌন্দর্য আবার শীতকালে অন্যরকম। অনেকেই শীতকালে পুরুলিয়া যেতে পছন্দ করেন। তবে পুরুলিয়া বলতে অযোধ্যা পাহাড় বা বরন্তি টু লোয়ার ড্যাম। কিন্তু আপনার এই চেনা জায়গাতেও রয়েছে অচেনা এক ডেস্টিনেশন। নাম দুয়ারসিনি। শিমুল-পিয়ালের বন আর দূরে ছোট ছোট পাহাড়, সামনে লেক, ঠিক এরকমই দৃশ্য দুয়ারসিনির।
রয়েছে দুয়ারসিনি ভিউ পয়েন্ট যেখান থেকে মনে হয় পুরো শহর যেন সবুজের চাদর মুড়ে বসে আছে। অন্যদিকে আপন মনে বয়ে চলেছেন সাতগুরুম নদী। দুয়ারসিনি ট্রিপে গেলে ঘুরে আসতে পারেন হাড়গাড়া জঙ্গল, রাইকা পাহাড়, হাতিবাড়ি বা টটকো জলপ্রপাত থেকে।