শেষ আপডেট: 3rd December 2020 07:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শীতকাল এসে গেছে! আর শীত যখন আসে তখন একা আসে না, সঙ্গে করে নিয়ে আসে সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো নানা অপছন্দের অতিথিদের! সিজিনচেঞ্জের সময় তাই কম বেশি সকলেরই শরীর খারাপ হয়। তার জন্য ডাক্তার দেখানো, ওষুধপত্র অনেক কিছুরই প্রয়োজনও হয়। আসলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এই সর্দি কাশির মতো অতিথিরা বেশি দিন ধরে থেকে যেতে চায়! তখনই হয় বিপদ। তাই শরীরের দরকার প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন আর ফাইবার যা বাড়িয়ে তুলবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ডঃ অর্চনা বাত্রা এও বলেন, "কিছু খাবারের মধ্যে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, আর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের সিজিনচেঞ্জের কারণে হওয়া রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।" এমনই কিছু খাবারের কথা বলেছেন অর্চনা।
১. আদা
এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি। আদা অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ও ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবেও পরিচিত। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্লু'র মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। "আদা বমি বমি ভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। গরম স্যুপে বা চায়ের সঙ্গে কাঁচা আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। ভাইরাল সংক্রমণ এড়াতে, রান্নাতে আদার ব্যবহার করতে পারেন। গরম জলে বা ঠান্ডা জলের সঙ্গেও আদা খেতে পারেন।" ডঃ বাত্রা পরামর্শ দিয়েছেন।
২. মধু
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগগুলো থাকার জন্য মধু সবসময় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইউমিন সিস্টেমের উন্নতি করতে ও দেহকে হাইড্রেট রাখতে মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো কাশি, গলা ব্যথার মতো উপশমকে কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। সকালবেলা হালকা গরম জলে মধু ও লেবুর রস খুবই উপকারি বলে ডায়েটিসিয়ান জানান। এছাড়াও চায়ের সঙ্গে ও দুধের সঙ্গেও মধু যোগ করে খেতে পারেন।
৩. মুরগীর স্যুপ
মুরগীর স্যুপ হল স্বাস্থ্যকর ও মুখরোচক খাবার। এটা যেমন তাড়াতাড়ি হজম হয়, হজমে সহায়তা করে তেমনই এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, প্রোটিন, আর ক্যালোরি। এতে রয়েছে ইলেক্ট্রোলাইটস আর প্রয়োজনীয় ফ্লুইড যা জ্বর, সর্দি থেকে সুস্থ হতে সাহায্য করে।
৪. দই
দইতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন আর উপকারি প্রোবায়োটিক উপাদান। এই সমস্ত পুষ্টিকর উপাদানগুলো প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আর দই খেলে সর্দি কাশির ক্ষমতাও অনেকটা কমে যায়। তবে ডঃ বাত্রা আরও বলেছেন, "দুগ্ধজাতীয় সব খাবার শীতকালে খাওয়া যায় না। আপনার শরীরে দইয়ের প্রভাব সম্পর্কে আপনাকে সর্তক থাকতে হবে। যদি প্রভাব খারাপ হয় তাহলে ডায়েট চার্ট থেকে দইকে বাদ দিতে হবে।"
৫. ওটস
সকালের জলখাবারে খেতে পারেন ওটস। এর মধ্যে রয়েছে ফাইবার ও জিংক যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. রসুন
অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল আর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে রসুনের মধ্যে। রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতে অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। সর্দি, কাশি থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে রসুন। প্রতিদিন রান্নাতে রসুন বা স্যুপে কাঁচা রসুন খাওয়া খুব ভাল বলে জানিয়েছেন ডঃ অর্চনা।
৭. কলা
কলা সম্পর্কে ডঃ বাত্রা বলেন, "কলাতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে। আর শীতের সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ক্যালোরি সরবরাহ করে কলা। অনেকেই মনে করেন শীতকালে কলা খেলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভবনা প্রচুর থাকে, কিন্তু এ ধারনা পুরোটাই ভুল। কলা ঠান্ডা লাগা আটকাতেই সহায়তা করে।