
বাংলার হেঁশেল- গরমে ফলের তৈরি কাঠি আইসক্রিম
শমিতা হালদার
গরম কাল, তায় ভর জৈষ্ঠ্য মাস। আমের মরশুম এখন। তাছাড়াও নানান ফলে রঙিন হয়ে আছে বাজার। তবে বাচ্চাদের অনেক সময় জোর করে ফল খাওয়াতে হয়। আবার গরমে তাদের বায়না ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল কিছু। এই দাবদাহের দিনে এমনিতেই স্কুল-কলেজ বন্ধ, দেশজুড়ে কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা আতঙ্ক। এই পরিবেশে বাচ্চাদের মন ভালো রাখতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন কিছু সহজ সুস্বাদু রেসিপি। আইসক্রিম খেতে কে না ভালোবাসে! বিশেষ করে বাড়ির বাচ্চারা… তাই বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখেই আজকের রেসিপি ফলের তৈরি কাঠি আইসক্রিম। এটা এতই সহজ, যে বাড়িতে বসে বাচ্চারাই বানাতে পারবে অনায়াসে। মায়েরা খালি একটু সাথে থাকবেন। তাজা ফল থাকায়, আর বাজারি ক্রিমের ব্যবহার একদম না থাকায় স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ ভালো এই রেসিপি…
উপকরণ
পাকা আম
জাম অথবা প্লাম যেকোন
চিনি
বীট নুন
আইসক্রিম মোল্ড
না থাকলে প্লাস্টিকের কাপ আর আইসক্রিম কাঠি।
প্রণালী
সবার আগে পাকা আম খোসা ছাড়িয়ে আঁটি আলাদা করে চটকে মিক্সারে চিনি দিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর আইসক্রিম মোল্ডে সেই মিশ্রণ অর্ধেকটা ঢেলে ডিপ ফ্রিজে ৩০ মিনিট মতো রাখতে হবে। এতে মিশ্রণ সামান্য জমে আসবে।
এবার জামগুলো চটকে চিনি আর একটু বীট নুন দিয়ে পেস্ট করে নিয়ে ওই আমের মিশ্রণের ওপর দিয়ে ঢালতে হবে। কাঠি মাঝামাঝি রেখে মোল্ড ডিপ ফ্রিজে ৫-৬ ঘন্টা রাখতে হবে। তারপর বাইরে বের করে প্লেন জলে ২ মিনিট ডুবিয়ে রেখে কাঠি ধরে টানলে আইসক্রিম বেরিয়ে আসবে।
আপনারা চাইলে আম জাম ছাড়াও অন্য যেকোনও ফল দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন।
শমিতা হালদার, গুরগাঁও-এর বাসিন্দা, সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেও পেশায় একজন অনলাইন কুকিং ট্রেনার এবং হোম শেফ। যুক্ত আছেন রান্না সংক্রান্ত একাধিক ব্লগের সঙ্গে। বর্তমানে সারা দেশে এবং পৃথিবীর নানান প্রান্তে ছড়িয়ে আছে তাঁর ছাত্রছাত্রী। রান্না ছাড়াও দুস্থ বাচ্চা এবং মহিলাদের নিয়ে কাজ করেন। কোভিড আবহে সমাজকল্যাণমূলক নানা কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ব্যক্তি=গত উদ্যোগে কোভিড পেশেন্টদের পরিবারে পাঠাচ্ছেন বেসিক মিল।
https://three.pb.1wp.in/new-opinion-blog-about-bengali-cuisine-in-mid-summer-light-dishes-by-shamita-haldar/