Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 12 March 2024 15:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিজন চেঞ্জের সময় একটু আধটু ঠান্ডা কম বেশি সকলেরই লাগে! আবার কখনও কখনও গায়ে হালকা তাপমাত্রাও আঁচ করা যায়। কখনও কখনও সারাদিন শরীর ঠিক থাকলেও রাতে গা বেশ গরম হয়! নেহাত সামান্য জ্বর বলে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না কিন্তু! জ্বরের কারণ অন্যকিছুও হতে পারে, তাই ফেলে রাখবেন না।
রাতে জ্বর হওয়া সাধারণ কোনও বিষয় নয়। জ্বরের কারণে কেবল রাতে আপনার অস্বস্তি হয় না, সকালেও ক্লান্তি অনুভব করেন। শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁপুনি, খিদের অভাব, ডিহাইড্রেশন, ডিপ্রেশন, ঘুম ঘুম ভাব থাকে। অনেক সময়ে জ্বর বাড়লে প্রলাপ বকার মতো লক্ষণও দেখা যেতে পারে। রাতে জ্বর হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, যেগুলি আপনার অবশ্যই জানা উচিত এবং ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা দরকার এ ব্যাপারে।
যে কারণে রাতে জ্বর আসতে পারে-
প্রচণ্ড স্ট্রেস
কখনও কখনও স্ট্রেস এবং ক্লান্তি থেকেও রাতে হঠাৎ করে জ্বর আসতে পারে। অতিরিক্ত টেনশন, প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেন যাঁরা, তাঁদের এমন উপসর্গ দেখা দেয়। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, সারাদিনের কাজে শেষে নিজেকে চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। এর জন্য মেডিটেশন খুব উপকারি।
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও রাতের জ্বরের জন্য দায়ী। ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের কারণে এন্ডোকার্ডাইটিস, যক্ষা হতে পারে। যার কারণে রাতে আপনার জ্বর হতে পারে।
মূত্রনালীর সংক্রমণ
যদি মূত্রনালীর সংক্রমণ হয়, তাহলে এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। রাতের দিকে কাঁপুনি, শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। শীত শীত ভাব থাকবে। প্রায় প্রতিদিন এমন লক্ষণ দেখা দিলে ইউটিআই টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।
অ্যালার্জি
অ্যালার্জি হলেও রাতে জ্বর হতে পারে। কিছু ওষুধ থেকেও এই অ্যালার্জি হয়ে থাকতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সানবার্ন
অনেকক্ষণ প্রখর রোদে থাকার পরে সানবার্ন হলে, সমুদ্রতটে সময় কাটিয়ে সিলিকা ডাস্ট থেকে লাং ইনফেকশন হলেও জ্বর হওয়া অস্বাভাবিক নয়। জ্বরের পাশাপাশি অন্যান্য লক্ষণগুলি বিচার করে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন সমস্যাটি কতটা গুরুতর।
ত্বকের সংক্রমণ
ত্বকের সংক্রমণ থেকেও রাতে জ্বর হতে পারে। কী কারণে সংক্রমণ হচ্ছে সেটা ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া ভাল। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণ থেকেও ত্বকের নানা রোগ হয়।
Advertisement
Advertisement