শেষ আপডেট: 6th January 2021 06:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রোগা হতে কে না চান! শরীরের অতিরিক্ত মেদকে ঝড়িয়ে ফেলে চাবুক ফিগারের প্রত্যাশা রয়েছে সকলেরই। অনেকেই কঠোরভাবে ডায়েট করেন এই অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য, আবার কখনও খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন- এর ফলে হিতে বিপরীত হয়! মেদ কমানোর জন্য প্রয়োজন ক্যালোরি বার্ন হওয়া। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আপনি যেমন সুস্থ থাকবেন তেমনই আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরিও পুড়ে যাবে, সেই সঙ্গে কমে যাবে মেদ।
ক্যালোরি বার্ন করে এরকম খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম, বাদাম, তৈলাক্ত মাছ। এগুলো প্রতিদিন আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন। এই খাবারগুলো যেমন বিপাকে সহায়তা করে, তেমনই শরীরের বাড়তি মেদ ও ওজন কমাতেও সাহায্য করে। বাদাম অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে।
রইল এই ক্যালোরি বার্ন করে এমন খাবারের সম্পর্কে কিছু তথ্য
বাদাম:
বাদামকে পাওয়ার হাউস বলা হয়। পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে সবার আগে আসে বাদামের নাম। এর মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে প্রোটিন ও ভাল ফ্যাট থাকে যা অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সহায়তা করে। বাদামের সব থেকে ভাল গুণ হল, প্রতিদিন ডায়েটে বাদাম খেলেও কোনওভাবেই বাদাম শরীরে অতিরিক্ত ওজন বাড়ায় না।
বাদাম ও আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি, যা ভীষণই উপকারী। এছাড়াও বাদামে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করতেও সহায়তা করে।
তৈলাক্ত মাছ:
ননভেজ খাবারের মধ্যে মাছ হল খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তৈলাক্ত মাছ, যেমন সলমনের মধ্যে রয়েছে লং চেন ফ্যাটি অ্যাসিড যা অন্য কোনও খাবার থেকে খুব একটা পাওয়া যায় না। এছাড়াও মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। ডায়েটারি প্রোটিন বিপাকে সহায়তা করে, এর সঙ্গে ওজনও কমায়।
দই:
দইকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর দুগ্ধজাত পণ্য হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়ানোর জন্য দইয়ের বিকল্প খুবই কম খাবারই রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, প্রো-বায়োটিক থাকে যা শরীরে ক্যালোরিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
ডিম:
প্রোটিন বিভিন্নভাবে সহায়তা করে ওজন কমাতে। প্রথমত, প্রোটিন চেনকে ভাঙার জন্য শরীরের প্রচুর শক্তি ক্ষয় করতে হয়, এর ফলে ক্যালোরি বার্ন হয়। এছাড়াও প্রোটিন শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে। একটি ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
নারকেল তেল:
নারকেল তেলে ট্রাইগ্লিসারাইডগুলো ভাল মাত্রাতেই থাকে। এটা প্রকৃতপক্ষে একধরনের ফ্যাট কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই মাঝারি-চেন ট্রাইগ্লিসারাইডগুলো শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে ও ফ্যাট স্টোরগুলো কমাতে সহায়তা করে।
গ্রিন টি:
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল গ্রিন টি। এর অনেকগুলো গুণ রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হল ওজন কমানো।
শরীরের বাড়তি মেদ বাদ দিতে চাইলে নিজের প্রতিদিনের ডেয়েটে যোগ করুন এই খাবারগুলো। যেমন, তৈলাক্ত মাছকে বিভিন্ন সবজি দিয়ে রান্না করতে পারেন আবার সকালের জল খাবারে রুটির সঙ্গে খেতে পারেন ডিমসেদ্ধ।
আপনি যদি নিরামিষাশী হন তাহলে প্রোটিনের জন্য আপনাকে নির্ভর করতে হবে শাকসবজির ওপরে। এক্ষেত্রে ডায়েটে রাখতে পারেন ডালও।