শেষ আপডেট: 13th April 2023 12:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নানা রঙের আইশ্যাডো আর লিপস্টিকে ভরা বাক্সটির এক কোণে পড়ে থাকে কিছু স্পঞ্জ আর ব্রাশ। তা ছাড়া চলে না। দিনের পর দিন একই ব্রাশে কখনও লাগছে গোলাপি, কখনও কমলা কিংবা বেগুনি রং। মুখের সৌন্দর্য যে বাড়ছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু ব্রাশের অবস্থা বেহাল হচ্ছে। কারণ ব্রাশ পরিষ্কার করার বালাই নেই। মেকআপের পরে সেটা বাক্সবন্দি হয়েই পড়ে থাকে।
ঠিক যেমন গায়ের জামা, বিছানার চাদর নিয়ম করে কাচা হয়, তেমনই নিয়ম মেনে সাফ করতে হয় মেকআপ ব্রাশ। কিন্তু এই কাজটির কথা অনেক সময়েই খেয়াল থাকে না বহু জনের। আর তাই পুরনো মেকআপের অংশ, শরীরের মৃত কোষ, জীবাণু— সব লেগে থাকে এই সব ব্রাশে। যা বারবার ব্যবহার করলে অ্যালাোর্জি হতে পারে।
নিউ ইয়র্কের একটি গবেষণা বলছে, টয়লেট সিটের চেয়েও বেশি নোংরা নাকি মেকআপ ব্রাশ। হাজার রকম ব্যাকটেরিয়া বাসা বেঁধে থাকে তাতে। দীর্ঘদিন এমন অপরিষ্কার ব্রাশে মেকআপ করতে করতেই ত্বকের বারোটা বেজে যায়। চুলকানি, ফুসকুড়ি হতে থাকে। ত্বকে বলিরেখা পড়ে, ত্বকের নানারকম অ্যালার্জি ভোগাতে শুরু করে।
ব্রাশ পরিস্কার করার সময় কিছু বিষয় মাখায় রাখবেন, সেগুলি দেখে নিন একনজরে…
মেকআপ ব্রাশ মাসে অন্তত একবার পরিস্কার করা উচিত। হালকা গরম জলে কখনও পরিস্কার করবেন না। এতে ব্রাশের ব্রিসলের ক্ষতি হতে পারে।
হালকা জাতীয় শ্যাম্পু বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে ব্রাশ পরিস্কার করলে ভাল হয়। প্রথমে হাতের তালুতে শ্যাম্পু নিয়ে ব্রাশের ব্রিসলগুলি টিপে আস্তে আস্তে মাসাজ করুন।
কোনও মেকআপের ব্রাশে যদি স্পঞ্জের অংশ থাকে, তা হলে তা শ্যাম্পুতে ডোবাবেন না। কারণ, তাতে স্পঞ্জ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বরং সে ধরনের ব্রাশ চোবান হাত ধোয়ার তরল সাবানে। ধোয়ার পর হালকা কোনও কাপড় দিয়ে মুছে নিন স্পঞ্জ। কিছু ক্ষণ হাওয়ায় রেখে দিন।
ব্রাশ পরিস্কার করার জন্য বাজারে একধরনের প্রাকৃতিক তেল পাওয়া যায়। একে জীবাণুমুক্ত করা যায় দ্রুত।