Latest News

কত রকম রঙের ভাত হয়, জানেন! বাদামি, লাল, কালো, সাদা চালের তফাত কী, কোনটা উপকারি

দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুপুরে ভাত খাওয়ার ব্যাপারটা অনেকেই এড়িয়ে যেতে পছন্দ করেন। কারণ বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন ভাত শরীরের ওজনকে বাড়িয়ে দেয়। তবে বেশিরভাগ মানুষই ভাতের মধ্যে সাদা চালের ভাত খাওয়াকেই প্রাধান্য দেন। সাদা চালকে আরও বেশি চকচকে করার জন্য মেশিনে পালিশও করা হয়, যাতে বাজারদর বেশি পাওয়া যায়। বাদামি, লাল, আর কালো চালের উপকারিতা অনেক বেশি সাদা চালের থেকে।

১. বাদামি চাল

বাদামি চালকে কোনওরকম প্রক্রিয়াকরণের করা হয় না। তাই সাদা চালের ভাতের থেকে বাদামি চালের ভাতে পুষ্টি বেশি থাকে। কারণ মেশিনে প্রক্রিয়াকরণের জন্য সাদা চাল থেকে পুষ্টিগুণ অনেক কমে যায়, সেটা বাদামি চালের ক্ষেত্রে হয় না। কয়েক বছর ধরে বাজারে বাদামি চালের চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। তবে বাদামি চালের ভাত গরম গরম খেতে হবে, না হলে স্বাদ পাওয়া যাবে না। গবেষণা থেকে জানা গেছে ব্রাউন চাল বা বাদামি চালের ভাত ডায়াবেটিসের ঝুঁকিকে অনেকটা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।

২. লাল চাল

অ্যান্টোসায়ানিন ট্রাই নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থেকে এই চালের রঙ লাল হয়। অনেক সবজিতেও এই যৌগ থাকে যার কারণে লালশাকের মতো সবজি বাজারে পাওয়া যায়। লাল চালের ভাতে আয়রন, ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তচাপকে কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও লাল চালের ভাত পেটকে অনেকক্ষণ ভর্তি রাখে। ওজন কমাতেও সহায়তা করে।

৩. কালো চাল

বহু শতাব্দী ধরে চিনের মানুষেরা কালো চালের ব্যবহার করে আসছেন তাঁদের রান্নাতে। এটা নিষিদ্ধ ধান হিসেবে পরিচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিট্রিয়েন্টস, ফাইটোকেমিক্যালস, ভিটামিন ই, প্রোটিন, আয়রন রয়েছে। এগুলো ক্যানসারের ঝুঁকিকে অনেকটা কমিয়ে দেয়। কালো চাল রান্না করার পর ভাতের রঙ অনেকটা বেগুনি বেগুনি হয়। কালো চালের ভাতে প্রায় ১৬০ ক্যালোরি থাকে, যা অন্য চালের ভাতের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

৪. সাদা চাল

ভারতীয় পরিবারগুলোতে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয় সাদা চাল। মেশিনে পরিশোধিত ও প্রক্রিয়াকরণের ফলে সাদা চালের থেকে থায়ামিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলো নষ্ট হয়ে যায়। যদিও সাদা ভাতে পুষ্টি তুলমামূলক কম থাকলেও এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শক্তিভাণ্ডার।

You might also like