
অযোধ্যায় বেড়াতে যাচ্ছেন? এই জায়গাগুলো দেখতে ভুলবেন না কিন্তু
হনুমান গড়ি
এটা অযোধ্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। অযোধ্যায় এসে সবার প্রথমে তীর্থযাত্রীরা এই মন্দিরেরই দর্শন করেন। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, অনেকেই বিশ্বাস করেন যে রামের সঙ্গে হনুমানও এখানে বসবাস শুরু করেন এই শহরকে রক্ষা করার জন্য। তারপরে এখানে এই মন্দির বানানো হয়, মন্দিরে শিশু হনুমান তাঁর মা অঞ্জনীর কোলে বসে রয়েছে এমনই একটি মূর্তি রয়েছে। ৭৬টা সিঁড়ি পেরিয়ে আসার পরেই এই মন্দিরের মূল দরজা দিয়ে প্রবেশ করা যায়।
দশরথ মহল
হনুমান গড়ির খুব কাছেই রয়েছে দশরথ মহল। শ্রী রামচন্দ্রের বাবা ও অযোধ্যার রাজা হলেন দশরথ। এই রাজপ্রাসাদ ভীষণই সুন্দর ও রঙিন। বিভিন্ন স্থাপত্য ও কারুকার্যের নির্দশন পাওয়া যায় এখানে।
কনক ভবন
অযোধ্যার আরও একটি অন্যতম মন্দির হল কনক ভবন। কথিত আছে, কৈকেয়ী এই প্রাসাদটি রামচন্দ্রের বিয়ের পর সীতাকে উপহার দিয়েছিলেন। রাম-সীতার ব্যক্তিগত বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই প্রাসাদটি।
অযোধ্যার আরও বিশেষ জিনিস
অযোধ্যাতে একটি ছোট মন্দির রয়েছে, যার নাম ‘সীতা কি রসোই’ (সীতার রান্নাঘর), যা মূলত সোনা দিয়ে তৈরি প্রতীকী রান্নাঘর। ‘সীতা কি রসোই’ থেকে, সরজু নদীর ঘাটে পৌঁছাতে আধ ঘন্টা হাঁটতে হবে। এখানেই রয়েছে স্বর্গ দ্বার ওরফে রমা ঘাট এমন এক স্থান যেখানে বিশ্বাস করা হয় যে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার পরে রামকে শেষ কবর দেওয়া হয়েছিল। নাগেশ্বরনাথ মন্দিরটি রাম-সীতার পুত্র কুশ তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। সরজুর তীরে সন্ধ্যা আরতির অবশ্যই একটি দেখার মতো অনুষ্ঠান। এছাড়াও, নদীর তীরে নৌকা বিহারও উপভোগ করতে ভুলবেন না।