শেষ আপডেট: 21st October 2024 07:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। ইজরায়েলে এ যাবৎকালের সবথেকে বড় হামলা চালিয়েছিল হামাস। সেই হামলার পরই আরব দুনিয়ার পরিস্থিতি বর্তমানে পুরোপুরি বদলে গেছে। গাজা এবং লেবাননে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে ইজরায়েল সেনা। তার সঙ্গে হামাসের একাধিক কার্যকলাপের ভিডিও দেখাচ্ছে তাঁরা। এমনই আরও এক ভিডিও সামনে আনল আইডিএফ। দাবি করা হয়েছে। ৭ অক্টোবরের হামলার ঠিক আগের দিনের ভিডিও এটি।
ইজরায়েলের তরফ থেকে যে ভিডিও দেখানো হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, তৎকালীন হামাস প্রধান ইয়া সিনওয়ার সপরিবারে একটি সুড়ঙ্গে ঢুকছেন। প্রথমে দুজন শিশু, তার পিছনে রয়েছেন খোদ সিনওয়ার এবং তার পিছনে তাঁর স্ত্রী। ভিডিওতে সিনওয়ারের স্ত্রীর হাতে একটি কালো রঙের ব্যাগ দেখা গেছে। আইডিএফ-এর দাবি, ওই ব্যাগের দাম প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা! ইজরায়েলের প্রশ্ন, যে গাজায় মানুষ নাকি খেতে পান না, সেখানে হামাস নেতার স্ত্রী ২৭ লক্ষ টাকার ব্যাগ নিয়ে ঘোরেন, কীভাবে?
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন ইজরায়েল সেনার মুখপাত্র অভিচায় আদ্রি। তাঁর কথায়, ''গাজার মানুষের কাছে না আছে টাকা, না খাবার। এদিকে হামাস প্রধানের স্ত্রীর কাছে এত দামি ব্যাগ। সিনওয়ার এবং তাঁর স্ত্রীর টাকার প্রতি ভালবাসা দেখার মতো। সিনওয়ারের স্ত্রী ২৭ লক্ষ টাকার ব্যাগ নিয়ে সুড়ঙ্গে ঢুকছেন? আমি আপনাদের মতামত জানতে চাইছি।'' প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর হামাস প্রধান সিনওয়ারকে খতম করা হয়েছে বলে দাবি করে আইডিএফ। তাঁর শেষ মুহূর্তের ড্রোন ফুটেজও সামনে আনা হয়েছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালিয়েছিল আইডিএফ। তাতেই তিন জন হামাস নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। তার মধ্যেই একজন হামাস প্রধান সিনওয়ার। যে ড্রোনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ঘরের মধ্যে সোফায় বসে রয়েছে এক ব্যক্তি। তার একাধিক চোট লেগেছে। সম্ভবত ডান হাত বোমার আঘাতে অর্ধেক উড়ে গেছে! তাকে দেখেই মনে হচ্ছে বেঁচে থাকার শক্তি নেই। এদিকে ড্রোন লক্ষ্য করে কোনও রকমে লাঠি জাতীয় কিছু ছুড়ছে ব্যক্তি। দাবি করা হয়েছে, ভিডিওতে দেখা যাওয়া এই ব্যক্তিই ইয়া সিনওয়ার।
এই ঘটনার পরই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা হয়। তবে ইজরায়েল সরকার জানায়, ড্রোন হানার সময় নেতানিয়াহু কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ সেখানে ছিলেন না। সে দেশের সেনাবাহিনী জানায়, লেবানন থেকে ড্রোনটি ছোড়া হয়। সেটি একটি বাড়িতে এসে ধাক্কা মারে। লেবানন থেকে ছোড়া আরও দুটি ড্রোন ইজরায়েলের সীমানা পেরনো মাত্রই তা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।