শেষ আপডেট: 3rd March 2025 19:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিশু হত্যার অভিযোগে ভারতের উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দা শাহজাদি খানকে (Shahzadi Khan) ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল সংযুক্ত আমিরশাহির (UAE) আদালত। সেই সাজা কার্যকর হয়ে গেছে। দিল্লি হাইকোর্টকে এই খবর জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। জানানো হয়েছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হয়েছে শাহজাদিকে।
২ মার্চ মেয়ের শারীরিক অবস্থা ও আইনি প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি জানতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শাহজাদির বাবা সাব্বির খান। বিদেশমন্ত্রক যাতে সব তথ্য জানায়, সেই আবেদন করেছিলেন তিনি। মাত্র একদিনের মধ্যে মেয়ে সম্পর্কে তথ্য তো বাবা পেলেন, তবে এই খবর তাঁকে শুনতে হবে তা কল্পনাও করেননি। তিনি বুঝতে পারলেন, তাঁর যাবতীয় আবেদন করা আদতে বৃথাই ছিল। কারণ মেয়ে অন্তত ১৫ দিন আগে মারাই গেছে।
অ্যাডিশনাল সলিসেটর জেনারেল চেতন শর্মা জানিয়েছেন, আমিরশাহির ভারতীয় দূতাবাস গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এই ফাঁসি সম্পর্কে জানতে পারে। সরকারিভাবে সেদিনই সেই তথ্য তাঁদের দেওয়া হয়েছিল। তিনি এও জানান, ভারত সরকারের তরফে সম্পূর্ণ চেষ্টা করা হয়েছিল শাহজাদির সাজা কম করতে, কিন্তু কিছু করা যায়নি।
ঠিক কী অভিযোগ ছিল শাহজাদির বিরুদ্ধে
দুবাইয়ে এক দম্পতির শিশুর দেখভালে গাফিলতি করেছিলেন তিনি এবং তার জেরে শিশুর মৃত্যু হয়! এমনই অভিযোগ ছিল শাহজাদির বিরুদ্ধে। হাসপাতাল ময়নাতদন্তের সুপারিশ করলেও শিশুর বাবা-মা তা প্রত্যাখ্যান করেন। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই আদালত শাহজাদিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
জানা গেছে, কোভিডের সময় শাহজাদি বান্দায় একটি ব্যাঙ্কে কাজ করতেন। সেই সময় ফেসবুকে উজাইর নামে আগ্রার এক বাসিন্দার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। ছোটবেলাতেই মুখ পুড়ে গিয়েছিল শাহজাদির। এরপর ২০২১ সালের নভেম্বরে উজাইর তাঁকে চিকিৎসার অজুহাতে এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে দম্পতি তাঁকে আবুধাবিতে নিয়ে যান। এরপরই পুলিশ দুবাইয়ে বসবাসকারী দম্পতি এবং উজাইরের বিরুদ্ধে মানব পাচারের মামলা দায়ের করে।