শেষ আপডেট: 10th January 2025 12:15
এই মন্তব্য নিয়ে জ্বালা গুট্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, 'প্রথমত, কেন তিনি স্ত্রীকে দেখবেন না? এবং শুধু রবিবারেই কেন?' তিনি আরও জানান, এমন মন্তব্য শিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে আসা সত্যিই দুঃখজনক ও ভয়ঙ্কর।
জ্বালা গুট্টা টুইটারে লেখেন, 'এটা হতাশাজনক এবং কখনও কখনও অবিশ্বাস্য যে, এত বড় প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে থাকা শিক্ষিত মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য এবং বিশ্রামকে গুরুত্বই দেন না। নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করে তারা নিজেদের প্রকাশ করছেন। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।'
I mean…first of all why shouldn’t he stare at his wife…and why only on a Sunday!!!
— Gutta Jwala ???? (@Guttajwala) January 10, 2025
its sad and sometimes unbelievable that such educated and people at highest positions of big organisations are not taking mental health and mental rest seriously…and making such misogynistic…
এর পাশাপাশিই চর্চা শুরু হয়েছে, এল অ্যান্ড টি সংস্থার বেতন কাঠামো নিয়ে। জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এল অ্যান্ড টি কর্মচারীদের গড় বেতন ছিল ৯.৫৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে সুব্রহ্মণ্যমের বেতন ছিল ৫১ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, তাঁর বেতন গত বছরের তুলনায় ৪৩.১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সুব্রহ্মণ্যমের এই বিতর্কের পরে এল অ্যান্ড টি একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, 'ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই দশকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অসাধারণ ফলাফলের জন্য অসাধারণ প্রচেষ্টাও প্রয়োজন। চেয়ারম্যানের বক্তব্য আমাদের এই বৃহত্তর লক্ষ্যকেই প্রতিফলিত করে। আমরা এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলায় বিশ্বাস করি, যেখানে আবেগ, উদ্দেশ্য, এবং কর্মদক্ষতা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
যদিও এল অ্যান্ড টি-র বিবৃতিতে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি এই বিতর্কে। বরং সুব্রহ্মণ্যমের বিপুল বেতনই আরও বেশি করে উঠে এসেছে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। কর্পোরেট বিশ্বে কর্মচারীদের কাজের ভারসাম্য এবং বেতনের সামঞ্জস্য নিয়ে আলোচনা আরও উস্কে গিয়েছে।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'যাঁরা আপনার কোম্পানির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন, তাঁদের বাড়িতে ৭-৮ জন কর্মচারী থাকেন না, যাঁরা কাপড় কাচা, গাড়ি ধোয়া, সন্তানদের সিনেমায় নিয়ে যাওয়া, বা বাড়ির অন্যান্য কাজ করে দেবে।' তিনি আরও বলেন, 'তরুণ কর্মীদের পরিবার এবং অবসর উপভোগ করার সুযোগ দিন। রবিবার কাজ করার কথা বলতেই পারেন, কিন্তু ছুটিও দিন।'