শেষ আপডেট: 24th March 2025 23:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিলেতের মাটিতে (London) দাঁড়িয়ে, লন্ডন থেকে কলকাতা সরাসরি উড়ানের দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
লন্ডন সফরের দ্বিতীয় দিনে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ ছিল ভারতীয় দূতাবাসে। সেখানে নিজের ১৮ মিনিটের বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুকৌশলে প্রশ্ন তুলে দিলেন, লন্ডন থেকে সরাসরি কলকাতা পর্যন্ত বিমান থাকবে না কেন?
নারীর ক্ষমতায়ন থেকে শিল্প, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি, সর্বক্ষেত্রে বাংলা কীভাবে এগিয়ে চলেছে, তার পুঙ্খানপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরার পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি চাই লন্ডন থেকে কলকাতা সরাসরি উড়ান চালু হোক। কারণ কলকাতার সঙ্গে লন্ডনের দূরত্ব কিন্তু বেশি নয়। মাত্র ৮ ঘণ্টা। ব্রেক জার্নির ফলে সেটা ১৮ ঘণ্টা লাগল!"
মুখ্যমন্ত্রী যখন একথা বলছেন, তখন হাততালিতে ভরে ওঠে সভাস্থল। যা থেকে স্পষ্ট, সেদেশে গিয়ে অনেকেরই মনের কথা বলে দিয়েছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "আমি চাইব ভারতীয় দূতাবাস এবং ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ যৌথভাবে লন্ডন-কলকাতা সরাসরি উড়ানের ব্যবস্থা করুক। এতে মানুষের সময়ও বাঁচবে।"
বস্তুত, এক সময় কলকাতা থেকে লন্ডন সরাসরি উড়ান চললেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে লন্ডন যেতে হলে দুবাই হয়ে যেতে হয়। সম্প্রতি হিথরো বিমানবন্দরের অদূরে অগ্নিকাণ্ডের জেরে টানা ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল বিশ্বের বৃহত্তম এই বিমানব্ন্দরে। যার জেরে নির্ধারিত সফরসূচিও বদলাতে হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। লন্ডন সফরকে কেন্দ্র করে তার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে শুরু হওয়া সেই অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গ টেনে এদিন মমতা বোঝাতে চেয়েছেন. সারা বিশ্বের সঙ্গে সমান তালে এগোচ্ছে কলকাতা-সহ বাংলাও। তাহলে যোগাযোগে বিদেশের সঙ্গে পিছিয়ে থাকার অর্থ কী?
কেন লন্ডন থেকে সরাসরি কলকাতার বিমান চাইছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "আমরা, আপনারা পরিবারের মতো নই, একটা পরিবারই। তাই আপনার পরিবারও আমার পরিবার। আমরা কেউই আলাদা নই। দু'দেশের মানুষের মধ্যে আরও ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে হলে যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি জরুরি।"
স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী থেকে প্রতিটি সেক্টরে কীভাবে বাংলার মহিলারা উন্নতির শিখরে নিজেদের মেলে ধরছেন, কীভাবে শিল্পে-প্রযুক্তিতে বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলার যে অগ্রণী সংস্কৃতির জন্য দেশ স্বাধীনের আগে থেকেই কলকাতাকে দেশের সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র বলা হয়-- এই সবটাই এদিন বিদেশের মাটিতে নিজের সংক্ষিপ্ত ভাষণের মধ্যে দিয়ে মালা গাঁথার মতো করে সাজিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক কথায়, বাংলার জয়গান গাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোঝালেন, বাংলা কারও চেয়ে কোনও কিছুতে কম নয়! বক্তব্য শেষ করলেন 'জয় হিন্দ' দিয়ে।