প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার কৌশল?
শেষ আপডেট: 21 June 2024 12:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সুখবর! নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদেশি পড়ুয়ারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্নাতক হলেই 'অটোমেটিক' গ্রিন কার্ড পেয়ে যাবেন বলে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিলেন দীর্ঘদিন ধরে কট্টর অভিবাসী-বিরোধী বলে নিন্দিত ট্রাম্প। এর ফলে আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন সেখানে স্নাতকস্তরে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা। পড়া শেষ করেই পাততাড়ি গুটিয়ে ফিরে আসতে হবে না দেশে।
কিন্তু, আচমকা কেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান বদল?
বিদেশে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে দেশ ছেড়ে বিদেশে পড়তে গিয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯২৩ জন। তার আগের বছরের তুলনায় যা ৩৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে প্রচুর সংখ্যক আমেরিকায় গিয়েছেন পড়তে। অথচ, আমেরিকা প্রশাসন এতদিন ধরে তাদের স্থায়ী বসবাস নিয়ে ব্যাপক টালবাহানা করছিল। বিশেষত ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন বিদেশিদের বসবাসের অধিকার দেওয়ার ঘোরতর বিরোধী। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে অভিবাসী একটি বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। তাই ট্রাম্পের এরকম ভোলবদল বলে মনে করা হচ্ছে।
'অল-ইন' পডকাস্টে এক সাক্ষাৎকারে ৭৮ বছর বয়সি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এখানে এসে কেউ স্নাতকস্তর উত্তীর্ণ হলেই তিনি অটোমেটিক গ্রিন কার্ড পেয়ে যাবেন। ফলে তাঁরা এই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন। জুনিয়র কলেজেও একই নীতি প্রয়োগ করা হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার কৌশল?
আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাস করা কয়েক হাজার অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দিতে একটি নতুন উদ্যোগের কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। এই উদ্যোগের আওতায় মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেছেন এমন প্রায় পাঁচ লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নির্বাচনের বছরে বাইডেনের পদক্ষেপ রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির ঘোর বিপরীত। হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে গত মঙ্গলবার বাইডেন আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসী পরিবারগুলোকে আলাদা করা এবং অবৈধ অভিবাসীদের সম্পর্কে উসকানিমূলক ভাষা ব্যবহার করার জন্য ট্রাম্পের সমালোচনা করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি সীমান্ত বা অভিবাসন নিয়ে রাজনীতি করতে আগ্রহী নই। আমি এটা ঠিক করতে আগ্রহী। বাইডেনের নতুন এই পদক্ষেপে প্রায় পাঁচ লক্ষ অভিবাসী নাগরিকত্ব পাবেন। এ জন্য একজন অভিবাসীর গত ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের ১০ বছর পূর্ণ হতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিকের সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হতে হবে। মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ মা-বাবার ২১ বছর বয়সের কম বয়সি প্রায় ৫০ হাজার ছেলেমেয়েও একইভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
এই যোগ্যতার ভিত্তিতে অভিবাসীর আবেদন অনুমোদিত হলে তিনি গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে তিন বছর সময় এবং একটি অস্থায়ী ‘ওয়ার্ক পারমিট’ বা কাজের অনুমতি পাবেন। তাছাড়া এর মধ্যে তিনি আমেরিকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হাত থেকে রেহাইও পাবেন। সেই হিসেবে ট্রাম্পের এই নীতিবদলে ভোটের মুখে বাইডেনকেও চাপের মুখে ঠেলে দিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।