সামসুদ-দিন জব্বার।
শেষ আপডেট: 2nd January 2025 14:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিউ অরলিন্সে নতুন বছরের উৎসবের ভিড়ের মধ্যে ট্রাক চালিয়ে ১৫ জনকে হত্যা এবং বহু জনকে আহত (New Orleans Attack) করার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আমেরিকার এফবিআই চিহ্নিত করেছে ৪২ বছর বয়সি সামসুদ-দিন জব্বারকে। বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে সে।
এর পরেই মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য এবং টেক্সাসের একজন রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে পরিচিত জব্বারের জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। উঠে এসেছে তার জঙ্গিযোগের সম্ভাবনা।
সামসুদ-দিনের কেরিয়ার
জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুসারে, জব্বার ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কম্পিউটার সিস্টেম বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পরে সামসুদ-দিন জব্বার ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মার্কিন সেনাবাহিনীতে এইচআর ও আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন এবং ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সেনা রিজার্ভে ছিলেন বলে জানাচ্ছে পেন্টাগনের তথ্য।
তিনি ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আফগানিস্তানে মোতায়েন ছিলেন এবং স্টাফ সার্জেন্ট পদে সম্মানের সঙ্গে চাকরি শেষ করেন।
ব্যক্তিজীবন ও অর্থ সংকট
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, জব্বার দু'বার বিয়ে করেন। ২০২২ সালে দ্বিতীয় বিবাহ বিচ্ছেদের সময় তিনি আর্থিক সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর আইনজীবীকে পাঠানো একটি ইমেলে জানান, বাড়ির ঋণ শোধ করার মতো আর্থিক সামর্থ নেই তাঁর। তাঁর রিয়েল এস্টেট কোম্পানি আগের বছর প্রায় ৩০ হাজার ডলার লোকসান করেছে এবং তিনি আইনি লড়াই চালাতে দেনায় ডুবে গেছেন। তাঁর ক্রেডিট কার্ডে কয়েক হাজার ডলারের ঋণ রয়েছে।
টেক্সাসের বোমন্টে বসবাসকারী আবদুর জব্বার নামের একজন ব্যক্তি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানান, তিনি সামসুদ-দিন জব্বারের ভাই। সামসুদকে তিনি 'ভাল মনের মানুষ, বুদ্ধিমান এবং দয়ালু' বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি বলেন, তাঁর ভাইয়ের এই কর্মকাণ্ড ইসলামের পরিপন্থী। এটি 'চরমপন্থা' হিসেবে বর্ণনা করেন আবদুর।
নিউ ইয়ারের হামলা
এই মার্কিন হামলার পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে জব্বার অনলাইনে এমন কিছু ভিডিও শেয়ার করেন, যা আইএসআইএস-এর দ্বারা অনুপ্রাণিত বলে মনে হয়েছে (New Orleans Attack)। এছাড়া, তাঁর ব্যবহৃত গাড়িতে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কালো পতাকা পাওয়া গেছে বলে এফবিআই জানায়।
নিউ অরলিন্সে বর্ষবরণের দিন জব্বার একটি সাইবারট্রাক ভিড়ের মধ্যে চালিয়ে দেন হুড়মুড় করে। এরপর গাড়ি ক্র্যাশ করে। তিনি গুলি চালাতে শুরু করেন এলোপাথাড়ি এবং পুলিশর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।