WHO-এর এই নতুন প্রকল্পের নাম ‘৩ বাই ৩৫’। লক্ষ্য — ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এক ট্রিলিয়ন ডলার রাজস্ব সংগ্রহ করা।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 4 July 2025 13:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস (Diabetes), ক্যানসার (Cancer) ও হৃদরোগের (Heart Attack) মতো রোগ। তার মোকাবিলায় চিনি, তামাক ও মদের ওপর কর ৫০ শতাংশ (50 Percent) পর্যন্ত বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। আগামী এক দশকের মধ্যে এই দামবৃদ্ধি বাস্তবায়নের জন্য দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়েছে তাঁরা।
স্পেনের সেভিয়ায় অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ফিনান্স ফর ডেভেলপমেন্ট’ সম্মেলনে WHO-এর সহকারী ডিরেক্টর জেনারেল জেরেমি ফেরার বলেন, “স্বাস্থ্যকর সমাজ গড়তে স্বাস্থ্যকর করব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরী। এখনই সময় হয়েছে পদক্ষেপ নেওয়ার।” ঠিক কী পরিকল্পনা করা হচ্ছে সে বিষয়েও বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
WHO-এর এই নতুন প্রকল্পের নাম ‘৩ বাই ৩৫’ (3/35)। লক্ষ্য — ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এক ট্রিলিয়ন ডলার (1 Trillion Dollars) রাজস্ব সংগ্রহ করা। নেশার দ্রব্যগুলিতে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি 'হেল্থ ট্যাক্স' হিসেবে ধরছে তাঁরা। এই অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়ন ও স্বাস্থ্য খাতে সঙ্কট মোকাবিলায় কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেন, “সরকারগুলির জন্য এই ধরনের কর ব্যবস্থা শুধু স্বাস্থ্যগত উন্নতিই নয়, আর্থিক স্থিতিশীলতা আনতেও সাহায্য করবে। দেশের আর্থিক দিক থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার এটাই বাস্তব পথ।”
দক্ষিণ আফ্রিকা ও কলোম্বিয়ায় এমন স্বাস্থ্যকর কর ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই সুফল দিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে WHO-এর রিপোর্টে। সেই অভিজ্ঞতাকেই এবার বিশ্বব্যাপী প্রয়োগ করতে চায় সংস্থা। তবে WHO-র এই প্রস্তাবে প্রবল আপত্তি তুলেছে পানীয় ও মদ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি।
ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব বেভারেজ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক কেট লোটম্যানের দাবি, “চিনি যুক্ত পানীয়ের উপর কর বসানোর ফলে বিশ্বে কোথাও স্থায়ীভাবে স্থূলতা বা স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়নি। ‘ডিস্টিলড স্পিরিটস কাউন্সিল’-এর বিজ্ঞানী অ্যামান্ডা বার্গারও দাবি করেছেন, “শুধু কর বাড়িয়ে অ্যালকোহলজনিত ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব নয়। এটি ভুল সিদ্ধান্ত।”
যদিও এইসব আপত্তি সত্ত্বেও WHO এই পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী। এও জানান হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বের ১৪০টি দেশ তামাকজাত পণ্যের উপর ৫০ শতাংশের বেশি কর আরোপ করেছে।