শেষ আপডেট: 25th January 2025 16:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বন্দি প্রত্যপর্ণের শর্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে প্রায় একবছরেরও বেশি সময় হামাসের কবজায় চার ইজরায়েলি মহিলা সেনা মুক্তি পেলেন শনিবার। ২০০ প্যালেস্তিনীয় বন্দির পরিবর্তে এই চার যুবতী সেনাকে এদিন মুক্তি দেয় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। ক্যারিনা আরিয়েভ, দানিয়েলা গিলোবা, নামা লেভি ও লিরি আলবাগ নামে চার ইজরায়েলি সেনাকে গাজায় রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় হামাস।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা যখন সীমান্ত ঘেঁষা ছাউনিতে হামলা চালায়, তখন এঁরা সেখানে ডিউটিতে ছিলেন। রয়টার্সের খবর, একজনকে অপহরণ করেছিল ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী দল। গত ১৯ জানুয়ারি ইজরায়েল-হামাস বন্দি হস্তান্তর দিয়ে শুরু হয় যুদ্ধবন্দিদের প্রত্যপর্ণের পালা। এদিন দ্বিতীয় দফায় হল সেই কাজ। এদিন যে প্যালেস্তিনীয়দের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তাদের মধ্যে মহম্মদ আল-তাউস রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাউস হল ১৯৮৫ সাল থেক ইজরায়েলের হাতে বন্দি।
ইতিমধ্যেই বন্দি হস্তান্তরের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছেন ইহুদি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আচমকাই এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, যতক্ষণ না মহিলা অসামরিক নাগরিক আরবেল ইয়েহুদকে ছাড়া হবে, ততক্ষণ তারা মুক্ত প্যালেস্তিনীয়দের উত্তর গাজায় ফিরতে দেবে না।
যে চার মহিলা সেনা মুক্তি পেলেন তাঁদের মধ্যে একজনের নাম ক্যারিনা আরিয়েভ। বয়স ২০। গাজা সীমান্ত থেকে মাত্র ১ কিমি দূরে নাহাল ওজ সেনা ছাউনিতে কাজ করছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। বন্দি করার কিছুদিন পর হামাস তাঁর একটি ছবি বাবা-মায়ের কাছে পাঠায় শনাক্ত করার জন্য। তখনই জানা যায়, তিনি হামাসের হাতে রয়েছেন। কোনও তারিখ ছাড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, আরিয়েভ মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় বসে রয়েছেন। তাঁর পাশেই দেখা যায় আলবাগ, আগম বার্গার এবং গিলোবাকে। তাঁদেরও সকলের মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল।
দানিয়েলা গিলোবার বয়স ২০ বছর। তিনিও নাহাল ওজ ঘাঁটিতে ডিউটিতে ছিলেন। জুলাইয়ে হামাসের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে তাঁকে দেখা যায়। ইজরায়েল সরকারের কাছে তাঁকে এবং অন্যান্য বন্দিদের মুক্তি প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছিল ভিডিওতে। অপহরণের সময় নামা লেভির বয়স ছিল ১৯। এখন তাঁর বয়স একবছর বেড়ে গিয়েছে। তিনি সবেমাত্র মিলিটারিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারপরেই হামাসের হাতে বন্দি হন। বন্দি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর হামাসের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে তাঁকে জিপে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রাখার ছবি সামনে আসে। ১৯ বছরের আলবাগকে রকেট ফায়ারিংয়ের সময় তুলে নিয়ে যায় হামাস বাহিনী। পরিবারের দাবি, একটি ছাদের নীচে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানেও হামাসের দল হামলা চালায়। তাঁকে প্রথম শনাক্ত হয় ভিডিও ফুটেজ দেখে। এই চারজন ছাড়া পাওয়ার পর কেবলমাত্র ২১ বছরের বার্গার হামাসের ঘরেই থেকে গেলেন। বাকি সকল মহিলা সেনাকেই মুক্ত করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী।