ইরান-ইজরায়েলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সাত দিনে পড়েছে। এর মধ্যেই ওয়াশিংটনে (Washington) আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে একটি বড় প্রশ্ন—এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) হস্তক্ষেপ করবে কি না?
ডোনাল্ড ট্রাম্প
শেষ আপডেট: 19 June 2025 21:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইরান-ইজরায়েলের (Iran Israel Conflict) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সাত দিনে পড়েছে। এর মধ্যেই ওয়াশিংটনে (Washington) আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে একটি বড় প্রশ্ন—এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) হস্তক্ষেপ করবে কি না? হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।
হোয়াইট হাউসের (White House) তরফে সংবাদ সচিব ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের সামনে এখনও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। ইরান আলোচনায় বসার ইচ্ছা দেখিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবেন আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে।”
এর আগে বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প নিজেই বলেছিলেন, “আমি হয়তো সিদ্ধান্ত নেব, হয়তো আবার নেবও না। তবে এটা বলতে পারি, ইরান এখন মহাসমস্যায় রয়েছে, আর তারা আলোচনায় বসতে চায়।”
বৃহস্পতিবারও ইজরায়েল ও ইরান, একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। তেহরানে সক্রিয় হয় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সে দেশের সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানায়, “উত্তর তেহরানে শত্রুপক্ষের লক্ষ্যবস্তু ঠেকাতে আকাশ প্রতিরক্ষা সক্রিয় হয়েছে।”
এই সংঘাতের মধ্যেই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর দাবি, ইজরায়েল শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের মানচিত্র বদলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইরানের অর্ধেকের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে তারা।”
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, ইরানে ইজরায়েলের পাল্টা হামলায় বৃহস্পতিবার আগুন লাগে বেয়ারশেভার সোরোকা হাসপাতালে। ইজরায়েল দাবি করেছে, এটি ছিল ইরান থেকে চালানো পরিকল্পিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। যদিও ইরান দাবি করেছে, তারা একটি ইজরায়েলি গোয়েন্দা ও সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেছিল।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাঠজ অভিযোগ করেন, “এই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ আয়াতোল্লাহ আলি খামেইনি। তিনি ইজরায়েল ধ্বংস করতে চান। এরকম একজন মানুষকে পৃথিবীতে আর রাখা যায় না।” এই সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়াও। মস্কোর হুঁশিয়ারি, “যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ একটি ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে। এতে গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা আরও টালমাটাল হয়ে উঠবে।”
ইতিমধ্যে ইজরায়েল জানিয়েছে, তারা প্রথম হামলা চালিয়েছিল এই সন্দেহে যে, ইরান শীঘ্রই পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে সক্ষম হয়ে উঠবে। সেই থেকে শুরু হয়েছে হামলা-পাল্টা হামলার ভয়াবহ পর্ব, যা এখন আরও বড় আকার নিচ্ছে।