শেষ আপডেট: 28th December 2024 13:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় বংশোদ্ভূত এআই গবেষক সুচির বালাজির মৃত্যুর ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। চ্যাটজিপিটির স্রষ্টা সংস্থা ওপেনএআই-এর কর্মী ছিলেন তিনি। পরে চাকরি ছেড়েছিলেন। তবে এআই নিয়ে এবং পুরনো সংস্থাকে নিশানা করে তাঁর কিছু মন্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তারপরই সান ফ্রান্সিস্কোর ফ্ল্যাট থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় আরও রহস্য ঘনায়। এবার সুচিরের মা ছেলের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন।
তাঁর পুরনো সংস্থা কপিরাইট আইন লাগাতার ভাঙছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সুচির বালাজি। ছেলের মৃত্যুর পর তাঁর মাও একইরকম অভিযোগ তুলেছেন। এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ছেলের মনে হয়েছিল কোম্পানি নিজেদের ফোকাস বদলে ফেলেছে। বেশি করে কী করে টাকা উপার্জন করা যায় তার দিকে মন দিয়েছিল। তিনি এও বলেন, ছেলের বিশ্বাস ছিল এআই মানবজাতির পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে উঠছে। সেই কারণেই আর মানাতে না পেরে সংস্থা ছেড়ে দেন সুচির।
গোটা বিষয় নিয়ে সংস্থার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন সুচির। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। বরং দুই পক্ষের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। অবশেষে কার্যত চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন সুচির। তাঁর মা জানিয়েছেন, চাকরি ছাড়ার পর সংবাদমাধ্যমে এআই-এর সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। এর জন্য তাঁকে বকাবকিও করেছিলেন। বলেছিলেন, কখনই সুচিরের একা এতকিছু বলা উচিত হয়নি, সংবাদমাধ্যমে মুখ দেখানো উচিত হয়নি। কিন্তু সুচির এসবে ভয় পাননি।
এই ঘটনার কিছু পরেই ২৬ তম জন্মদিন পালন করেছিলেন সুচির। তাঁর মা জানান, সে খুশি ছিল। কিন্তু কদিন পরই তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। বেশ কিছুদিন ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় সন্দেহ বাড়ে তাঁদের। পুলিশে অভিযোগ জানালে তাঁরা সুচিরের ফ্ল্যাটে যায়। বন্ধ দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আত্মহত্যা করেছেন সুচির। যদিও তাঁর বাবা-মা এটা মানতে রাজি নন। তাঁরা এখন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছেন, ছেলের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চান তাঁরা।