ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 19 March 2025 07:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৮ দিন বদলে গেছিল ৯ মাসে! একটা সময়ে সুনীতা উইলিয়ামসদের (Sunita Williams) পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজাও। তবে অপেক্ষার অবসান ঘটেছে ২৮৬ দিন পর! অবশেষে পৃথিবীর আলো দেখেছেন এত মাস ধরে মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি উইলমোর। বুধবার ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময়) তাঁদের নিয়ে ফ্লরিডার সমুদ্রে অবতরণ করেছে স্পেস এক্স-এর মহাকাশযান (Space X)।
স্বাভাবিকভাবে স্পেস স্টেশন (ISS) থেকে অবতরণ করতে কোনও মহাকাশযানের সাড়ে ৩ ঘণ্টা মতো সময় লাগে। কিন্তু সুনীতাদের ফেরাতে নাসা-স্পেস এক্স সময় নিয়েছিল ১৭ ঘণ্টা! বিশেষ কিছু কারণের জন্য এই অতিরিক্ত সময় লেগেছে। তবে শেষমেশ নিরাপদেই 'বাড়ি' ফিরতে পেরেছেন সুনীতা, বুচরা। স্পেস এক্স-এর তরফে ইতিমধ্যেই অবতরণের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতীয় সময় বুধবার ভোর ৪টে ২২ নাগাদ ক্যাপসুল থেকে হাসি মুখে বেরিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে সুনীতাদের। নাসার ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে হাত নাড়ছেন সুনীতা, এই ছবি দেখে উচ্ছ্বসিত সকলেই।
Splashdown of Dragon confirmed – welcome back to Earth, Nick, Suni, Butch, and Aleks! pic.twitter.com/M4RZ6UYsQ2
— SpaceX (@SpaceX) March 18, 2025
THE MOMENT! Sunita Williams exits the Dragon capsule#sunitawilliamsreturn #SunitaWillams pic.twitter.com/sCsYw7MUgq
— JUST IN | World (@justinbroadcast) March 18, 2025
আটলান্টিক মহাসাগরের যে অংশে সুনীতাদের ক্যাপসুল ল্যান্ড করেছে সে অংশে বহু ডলফিন ছিল। সেই ভিডিও-ও প্রকাশ্যে এসেছে। বলা হচ্ছে, তারাও যেন সুনীতাদের স্বাগত জানাতে এসেছিল। ২৮৬ দিন পর তাঁদের দেখে ডলফিনরাও প্রচণ্ড খুশি হয়েছে। ক্যাপসুল অবতরণ করার পর দেখা যায় তার আশেপাশে অনেক ডলফিন ঘোরাঘুরি করছে। কাছেই ছিল স্পেস এক্স-এর উদ্ধারকারী জাহাজ। তাতে উঠেই স্থলভাগের উদ্দেশে রওনা দেন সুনীতা-বুচরা। গন্তব্য হিউস্টন জনসন স্পেস সেন্টার।
There are a bunch of dolphins swimming around SpaceX's Dragon capsule. They want to say hi to the Astronauts too! lol pic.twitter.com/sE9bVhgIi1
— Sawyer Merritt (@SawyerMerritt) March 18, 2025
তবে এখনই বাড়ি ফিরতে পারবেন না তাঁরা। দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার কারণে শারীরিক নানা জটিলতার সৃষ্টি হয় মহাকাশচারীদের। সুনীতারাও ব্যতিক্রম নন। তাই এতদিন মহাকাশে থাকার কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারবেন না তাঁরা। পাশাপাশি মহাকাশ থেকে নতুন রোগ নিয়ে আশার আশঙ্কা থাকে, অন্যদিকে পৃথিবীর জীবাণুতেও সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদের। তাই এখন বেশ কয়েক সপ্তাহ তাঁদের থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে। সেখানে চলবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
গত বছরের জুন মাসে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। আট দিন পরেই তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু যে যানে চড়ে তাঁরা গিয়েছিলেন, সেই বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। এতএব ফেরা হয়নি। তারপর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ঝুঁকি এবং নানা প্রতিকূলতাকে সঙ্গী করেই দিন কাটিয়েছেন তাঁরা। অবশেষে প্রত্যাবর্তন।