লেবাননে ফের বিস্ফোরণ।
শেষ আপডেট: 19th September 2024 08:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পেজারের পরে এবার ওয়াকিটকি! লেবাননে ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরণ চলছেই দু'দিন ধরে। পাশাপাশি, ল্যান্ডলাইন ফোন বিস্ফোরণের খবরও মিলছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন নিহত বলে জানা গেছে। আহতের সংখ্যা সব মিলিয়ে হাজার তিনেকের বেশি! বুধবার থেকেই লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় হিজবুল্লাকে নিশানা করে এই হামলা চালানো হয়েছে। পেজার বিপর্যয়ের পরে একসঙ্গে শতাধিক ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে খবর। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইজরায়েল।
বুধবার একই সময়ে লেবাননের বিভিন্ন প্রান্ত পেজার বিস্ফোরণ ঘটে। একসঙ্গে ৩০০০ পেজার বিস্ফোরণ ঘটে সে সময়ে। তার পরেই শুরু হল ওয়াকিটকি ও ল্যান্ডলাইন টেলিফোনে বিস্ফোরণ। একাধিক বহুতলে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে বিস্ফোরণের কারণে।
News ????#Lebanon A walkie-talkie explodes in #Hezbollah's #Beirut stronghold.
— Kuldeep soora (@soora_kuldeep) September 18, 2024
#Lebanon that a new wave of explosions has occurred involving various wireless devices and electrical equipment causing sever
several casualties, according to news.#LebanonExplosion #Beirut #Israel pic.twitter.com/rZDSXSpEJK
জানা গেছে, মাস পাঁচেক আগেই এই ওয়াকিটকিগুলি কেনা হয় সরকারের তরফে। ওই একই সময়ে হাজার পাঁচেক পেজারও কেনা হয়। সেগুলিই পরপর ফাটতে শুরু করেছে। মূলত দক্ষিণ লেবানন, বেইরুটের শহরতলি এলাকায় বিস্ফোরণগুলি ঘটে। বুধবার পেজার বিস্ফোরণে নিহত এক হিজবুল্লার শেষকৃত্য চলছিল, সেখানেও বিস্ফোরণ ঘটে আজ। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
???? New footage shows a radio device exploding during the funeral of a Hezbollah member killed in yesterday's pager blasts. (Vid-1)
— BigBreakingWire (@BigBreakingWire) September 18, 2024
A motorcycle also exploded after its rider's device detonated. (Vid-2)
Additionally, a lithium car battery exploded. (Pic-3) https://t.co/DADnTypRy0 pic.twitter.com/01Qr47V9Y7
লেবাননের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, জাপানের সংস্থা আইকমের তৈরি আইসি-ভি৮২ মডেলের ওয়াকিটকিগুলিতে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। অথচ আইকম জানিয়েছে, ওই মডেলের ওয়াকি-টকি তৈরি তারা অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। একথা সংস্থার ওয়েবসাইটেও লেখা আছে। লেবাননে সেগুলি তারা বিক্রিও করেনি সরকারি মাধ্যমে। ফলে সেগুলি দেশে চোরাপথে সরবরাহ করা হয়েছে এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেই। দেশের নিরাপত্তা সংস্থাও সেগুলি পরীক্ষা করে দেখেনি।
ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে হামাসের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল লেবানন-সিরিয়ার হেজবুল্লা জঙ্গিদল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, প্যালেস্তাইন এবং গাজার সমর্থনে থাকার কারণেই ইজরায়েল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে লেবাননে। হালতা, ফরকেলা, ওডেইসে, চামায় হেজবোল্লার শিবির, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে গতকাল। আজও তেমনটাই হয়েছে। ফলে এই হামলার বলি হয়েছেন বহু নিরীহ মানুষ।
তবে হেজবোল্লাও পাল্টা পদক্ষেপ করছে। ইজরায়েলি সেনার একাধিক শিবিরে হামলা চালিয়েছে তারাও। রকেট ছোড়া হয়েছে একাধিক বার। দেশের দক্ষিণ সীমান্তে ইজরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষও চলছে তাদের। লেবানন সীমান্ত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।