শেষ আপডেট: 8th March 2025 08:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবার রাশিয়াকেও (Russia) হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) । তাঁর নিজের পরিচালিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ স্পেশ্যালে (Truth Special) ট্রাম্প লিখেছেন, ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধ বিরতি (Cease-fire) প্রস্তাবে সই না করলে আমরা রাশিয়াকেও রেহাই দেব না। মস্কোর উপরও চাপবে চড়া হারে শুল্ক। এছাড়া রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলির আমেরিকায় ব্যবসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণায় শুরু ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) নন, গোটা বিশ্বই বিস্মিত। সেই ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকে রাশিয়ার উপর আমরিকার (America) বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বিবাদের পর ট্রাম্প মার্কিন আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাশিয়ার উপর বহাল নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তাব তৈরি করতে।
সাতদিনের মাথায় তিনি মত বদলে উল্টো কথা বলায় রাশিয়া তো বটে, গোটা বিশ্বই বিস্মিত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের গোলমালের পর উল্লসীত হয়েছিল মস্কো (Mosco)। জেলেনস্কিকে হিংস্র চিতা, খলনায়ক বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল পুতিনের দেশ। সাতদিনের মাথায় সেই রাশিয়াকে নিশানা করে ট্রাম্প বুঝিয়ে দিলেন, আমেরিকা বাদে তিনি কারও মিত্র নন। শুল্ক অস্ত্র থেকে বাদ দেননি ‘পরম-বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) দেশ ভারতকেও (India)।
হোয়াইট হাউসের বৈঠকে ট্রাম্প ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে চাপ দিয়েছিলেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে। চাপাচাপি না করে তিনি জেলেনেস্কির দেশের খনিজ সম্পদের উপর ভাগ বসাতে চুক্তি করতে পারতেন। জেলেনস্কি কথা না শোনায় তাঁকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেন। বাতিল হয় নৈশ ভোজ এবং যৌথ সাংবাদিক বৈঠক। এখন দেখার শুল্প আরোপের হুঁশিয়ারি পেয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন চিনের (China) মতো ট্রাম্পকে মুখের ওপর জবাব দেন কি না। আমেরিকা চিনের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ হারে বাড়তি রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা মাত্র চিন পাল্টা শুল্ক চাপিয়েছে তাই-ই শুধু নয়, তাদের দেশে বেশ কিছু মার্কিন কোম্পানির ব্যবসা, শিল্প বন্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে। এখনও পর্যন্ত চিনই ট্রাম্পের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই তালিকায় রাশিয়াও যোগ দেয় কিনা দেখার।