শেষ আপডেট: 3rd August 2024 23:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যুদ্ধের ডঙ্কা যেন বেজে গেছে। এই বুঝি বোমা, মিসাইল সব পড়ল! ইজরায়েল-ইরানের আম নাগরিকরা এমনটাই হয়তো ভাবছেন। কারণ হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে এবং হিজবোল্লা কমান্ডোর ফুয়াদ শোকরের হত্যার ঘটনার পর বদলার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ইজরায়েল বা ইরানে থাকা অন্য দেশের নাগরিকদের চিন্তা বেড়েছে। একই সঙ্গে লেবাননের পরিস্থিতিও উদ্বেগের দিকে যাচ্ছে। তাই অন্যান্য দেশের সরকার ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দিয়ে দিয়েছে তাদের নাগরিকদের।
ইজরায়েলের ভারতীয় দূতাবাস সেখানে থাকা ভারতীয়দের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, প্রয়োজন ছাড়া এখন কিছুদিন বাড়ি থেকে না বেরতে। পাশাপাশি যে সমস্ত সেফটি প্রোটোকল মানতে বলা হচ্ছে তা যেন তাঁরা মানেন, সেই আর্জি জানানো হয়েছে। এদিকে আমেরিকা এবং ব্রিটেন সরকার তাঁদের নাগরিকদের স্পষ্ট জানিয়েছে লেবানন ছাড়তে হবে। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছে, একাধিক বিমানসংস্থা ইতিমধ্যে উড়ান বাতিল করেছে। আর যে বিমান রয়েছে তার অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তাই যে টিকিট পাবেন তা পছন্দ হোক না হোক, তাতেই লেবানন ছেড়ে বেরোন।
গত মঙ্গলবার বেরুটে হিজবোল্লা কমান্ডোর ফুয়াদ শোকরকে হত্যা করে ইজরায়েল। এর কয়েক ঘণ্টা পরই আবার জানা যায়, হামাস প্রধান হানিয়েকেও তেহরানে হত্যা করা হয়েছে। এই দুটি ঘটনার পর ইরান এবং তাঁরা যে সংগঠনগুলিকে সমর্থন করে তারা যে চুপ করে বসে থাকবে এমন ভাবার কোনও জায়গাই ছিল। বরং সঙ্গে সঙ্গে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার বার্তা দিয়েছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধের প্রহর গুনতে শুরু করেছে সকলে।
শুধু হানিয়ে এবং শোকর নয়, ইজরায়েল সম্প্রতি হত্যা করেছে হামাসের সেনা প্রধানকেও। ইজরায়েল সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় গত মাসে তারা এয়ারস্ট্রাইক করেছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ ডেইফের। গত ১৩ জুলাই এই হামলা চালিয়েছিল আইডিএফ। সেনার তরফে এও জানানো হয়েছে, গত বছর ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাস যে হামলা চালিয়েছিল তার নেপথ্যে প্রধান ভূমিকাই ছিল ডেইফের।