শেষ আপডেট: 10th November 2024 21:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দীর্ঘ দুবছরেরও বেশি সময় পেরলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। এবার মস্কোয় বিগত কয়েকবছরের তুলনায় সবচেয়ে বড় হামলা চালাল কিয়েভ। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তারপরই রাশিয়ার রাজধানীতে চলল বড়সড় হামলা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজন আহত হ্যেছেন বলে খবর। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একাধিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রবিবার মস্কোয় কমপক্ষে ৩৪টি ড্রোন হামলা হয়েছে। ঘটনার ভয়াবহতার জেরে ইতিমধ্যে মস্কো সাময়িকভাবে আকাশপথ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বলে খবর। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমান চলাচলও।
মস্কোর পাশাপাশি পুরো রাশিয়া জুড়ে আকাশপথে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পরিষ্কার জানিয়েছে, তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালায় ইউক্রেন। শুধু মস্কোই নয়, ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া পুতিনের দেশের একাধিক প্রান্তেও আরও ৩৬টি ড্রোন ছোড়া হয়েছে বলে খবর।
যদিও ইউক্রেনকে পাল্টা জবাব দিয়েছে রাশিয়া। সন্দেহজনক ড্রোনগুলিকে দেখামাত্রই সেগুলিকে তাক করে গুলি করে রুশ সেনা। পাশাপাশি মস্কো বিমানবন্দরে উড়ে আসা কমপক্ষে ৩৬টি বিমানকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
ইউক্রেন যতই বড় হামলার দাবি করুক না কেন তা মানতে নারাজ রাশিয়ার মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন। তিনি ড্রোন হামলার কথা স্বীকার করে নিলেও জানান, রুশ সেনা ড্রোনগুলিকে ধবংস করে দিয়েছে। সে কারণেই বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শনিবারই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যে তিনি ফোনে কথা বলেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কির সঙ্গে। ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় আসার পরপরই সবার নজর ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে। কিন্তু শনিবার জেলেনেস্কিকে ফোন করে কথা বলার পরই মস্কোয় সবচেয়ে বড় হামলা চালাল ইউক্রেন। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সবটাই কী ইউক্রেনের প্ল্যান নাকি ফোন করে প্রধানমন্ত্রীকে এয়ারস্ট্রাইকের কথাই বলেছিলেন ট্রাম্প? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।