শেষ আপডেট: 6th December 2024 15:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের এক মহিলার সঙ্গে প্রেম। তার কারণে সাসপেন্ড হতে হল ব্রিটেনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র রাখারও অভিযোগ উঠেছে। আর এইসব অভিযোগ এনেছেন উপাচার্যের স্ত্রী তিনি বর্তমানে তাঁর সঙ্গে থাকেন না।
বাকিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জেমস টুলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী সিন্থিয়া। দাবি, জেমস ১৫ বছর আগে কর্মসূত্রে বেশি কিছু সময় ভারতে ছিলেন। তখন হায়দরাবাদের এক মহিলার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ক এখনও রয়েছে। পাশাপাশি জেমসের কাছে একটি এয়ার রাইফেল রয়েছে যা অবৈধভাবে কেনা বলে অভিযোগ।
গত অক্টোবর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে অন্তত ৪ হাজার জনকে মেল পাঠিয়ে উপাচার্যকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। যদিও শুধু এই দুটি অভিযোগ নয়, উপাচার্যের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থী মনোভাব ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে।
২০২০ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জেমস টুলে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কম খরচে বেসরকারি স্কুল তৈরি করার কাজে দীর্ঘ দিন যুক্ত ছিলেন তিনি। জেমসের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ উঠেছে তা পুরোপুরি সত্যি নয় বলে মনে করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই অন্যান্য একাধিক অধ্যাপক। তাঁদের পাল্টা দাবি, একটি অভিযোগ ওঠায় অনেকে সুযোগ নিয়ে যা ইচ্ছা অভিযোগ করে যাচ্ছেন যাতে জেমসকে সরানো যায়।
এই ঘটনাতেও প্রসঙ্গত উঠেছে 'ক্যানসেল কালচার'-এর। এক অধ্যাপক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, জেমস বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন এবং এই ইস্যুতে দীর্ঘ সময় ধরে চর্চাও করে আসছেন। দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেই দাবি ছিল তাঁর। সেই পরিস্থিতির বদল চেয়েছিলেন তিনি। তাই হয়তো তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।